পরপর চারবার বাড়ানো হয়েছিল তাঁর মেয়াদ। মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে দেশজুড়ে উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। এবার অবশেষে অবসর নিলেন ইডির ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জয় মিশ্র। ইডির ডিরেক্টর পদে সঞ্জয়কুমার মিশ্রের মেয়াদ শেষ হল শুক্রবার। ১৯৯৩ ব্যাচের আইআরএস রাহুল নবীনকে অ্যাকটিং ডিরেক্টর হিসাবে স্থানাভিষিক্ত করা হয়েছে। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি পর্যন্ত রাহুল নবীন ডিরেক্টর পদের দায়িত্ব সামলাবেন বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর সূত্রে খবর। রাহুল নবীন বর্তমানে ইডির সিনিয়র অফিসারদের মধ্যে একজন। যিনি একটা সময় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চিফ ভিজিলান্স অফিসার হিসাবে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুনঃ বিরোধীদের নিয়ে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের অভিযোগে বিধায়কে শোকজ করল দল
২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর সঞ্জয় মিশ্রকে ইডির ডিরেক্টর পদে দায়িত্ব দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। দুবছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেই সময়। এরপর ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে সঞ্জয় মিশ্রর ডিরেক্টর পদে থাকার মেয়াদ দুই থেকে তিন বছর করে দেওয়া হয়েছিল। জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ১৫ সেপ্টেম্বরের পর আর ডিরেক্টর পদে সঞ্জয়কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়ানো যাবে না। সেই নির্দেশ মেনেই ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁর মেয়াদ শেষ হতেই আনা হল রাহুল নবীনকে। যতদিন পর্যন্ত না পূর্ণ সময়ের ইডি ডিরেক্টর নির্বাচন করা হচ্ছে, ততদিন এই পদের দায়িত্ব সামলাবেন রাহুল।
গত ২৭ জুলাই, শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বি আর গভাই, বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সঞ্জয় করোলের বেঞ্চ ‘বৃহত্তর জনস্বার্থের জন্য’ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইডি-র ডিরেক্টর পদে সঞ্জয়কুমারের মেয়াদ বৃদ্ধি করে। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের তরফে এর আগে যে রায় দেওয়া হয়েছিল, তাতে বলা হয় ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু নতুন রায়ের ফলে তাঁর কার্যকাল বেড়ে যায় ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। যদিও একই সঙ্গে বলে দেওয়া হয়েছিল, এর পর সরকারের তরফে সঞ্জয়ের ইডি ডিরেক্টরের পদে মেয়াদবৃদ্ধির কোনও আবেদন আদালত গ্রাহ্য করবে না। অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর রাতের মধ্যেই ক্ষমতা বুঝে নিতে হত রাহুল নবীনকে।
গত কয়েক বছর ধরেই একাধিক রাজ্যে নানা গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সক্রিয় ইডি। বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে শাখা সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মানসপুত্র সঞ্জয় মিশ্র। অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে বিজেপি বিরোধী নেতাদের হেনস্তা করার মূল উদ্দেশ্য হয়ে গিয়েছে ইডির। বিজেপির এজেন্ট হিসেবে ওই অধিকর্তা কাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার।