বিরোধীদের নিয়ে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের অভিযোগে বিধায়কে শোকজ করল দল

বিরোধীদের নিয়ে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের অভিযোগে বিধায়কে শোকজ করল দল

বিরোধীদের নিয়ে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের অভিযোগে বিধায়কে শোকজ করল দল। জেলায় জেলায় তৃণমুলের গোষ্টীকোন্দল অব্যাহত। মুর্শিদাবাদও সেই একই চিত্র পরিলক্ষিত হল।। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের পর এ বার জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাককে শোকজ় করল তৃণমূল। বিধায়কের সঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রাকিবুল ইসলামের দ্বন্দ্বে দলের অন্দরে শোরগোল শুরু হয়। সেই বিধায়ককে বাম-কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন করার জন্য শোকজ় করা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।

আরও পড়ুনঃ সত্যি কী ট্রেন ভর্তী লোক নিয়ে রাজধানী যাচ্ছে তৃণমুল? ইঙ্গিত সেই দিকেই

অভিযোগ, দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট করেন জলঙ্গির তৃণমূল বিধায়ক। শুধু তাই নয়, তিনি দলের প্রস্তাবিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া ছাড়াও একাধিক দল-বিরোধী কাজ করেছেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিস ধরিয়েছেন তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায়। বিধায়ক পাল্টা দলের জেলা সভানেত্রীর বিরুদ্ধে ‘একনায়কতন্ত্র’, ‘স্বৈরাচারিতা’ এবং নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে দল চালানোর অভিযোগ এনেছেন। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী নির্বাচনের পর এ বার পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে জলঙ্গি তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল তুঙ্গে উঠেছে।

 

বৃহস্পতিবার সকালে বিরোধীদের সঙ্গে নিয়েই স্থায়ী সমিতি নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত সমিতিতে ঢুকতে দেখা যায় জলঙ্গির তৃণমূল বিধায়ককে। তৃণমূল সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রাকিবুল। আবার শুরু হয় তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতর। বোর্ড গঠনের সময় বিধায়কের চার অনুগামী-সহ বিরোধী জোটের ১২ সদস্য, বিজেপির দুই এবং এক নির্দল সদস্যের সমর্থনে সভাপতি হিসেবে বিধায়ক-ঘনিষ্ঠ কবিরুল ইসলামের নাম প্রস্তাব করা হয়। এবং ভোটাভুটিতে তিনি জয়ীও হন। স্থায়ী সমিতির সহকারী সভাপতি হিসাবে জয়ী হন কংগ্রেসের মারিয়ম খান। এর পরেই বিরোধীদের নিয়ে দলীয় প্রার্থীকে পরাজিত করার ‘চক্রান্তের’ বিরুদ্ধে সরব হন জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি। ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিধায়ককে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করে দল। এ নিয়ে শাওনি বলেন, ”দলের প্রস্তাবিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিরোধী সদস্যদের সঙ্গে একযোগে ভোট দান করা দলবিরোধী কাজের শামিল। জলঙ্গির বিধায়ক, ব্লক সভাপতি এবং এক প্রধানকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে নোটিস দেওয়া হয়েছে।”

 

এ নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক রাজ্জাক বলেন, ”জেলা সভানেত্রী মুর্শিদাবাদের একাধিক হোটেলে বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁর ইন্ধনে আমাকে অপদস্থ করার জন্য দলের যুব সভাপতি উঠে পড়ে লেগেছেন। স্বেচ্ছাচারিতা উনি করছেন। এ সবই আমি রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব।”

en.wikipedia.org