তৃণমূলের দিল্লি কর্মসূচির মঙ্গলবার ছিল দ্বিতীয় দিন। আর দ্বিতীয় দিন শেষে তৃণমূলের কর্মসূচি ছিল কৃষি ভবন। এদিন কৃষি ভবনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। মঙ্গলবার রাতে অভিষেক সহ তৃণমূল কর্মীদের প্রিজনে ভ্যানে আটক করে দিল্লি পুলিশ। পরে অবশ্য তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কটাক্ষ। আর এদিনের ধর্ণা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র। দিল্লি পুলিশ তাঁকে চ্যাংদোলা করে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে, সেই ভিডিও কাল থেকে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা নেট মাধ্যমে। বিশেষ করে মহিলা সাংসদ মহুয়া মিত্র-র সঙ্গে পুলিশি জবরদস্তি বিশেষ করে চোখে লেগেছে নেট-নাগরিকদের। প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষরাও। এবার মহুয়া মিত্রের ভিডিয়ো শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ বীটের উপকারিতা
সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় টলিউড অভিনেত্রীর পাশাপাশি তিনি এখন তৃণমূল নেত্রীও। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে বাঁকুড়া থেকে টিকিটও দিয়েছিল তৃণমূল। তবে ভোটে জিততে পারেননি। তবে হেরে গিয়েও অন্য তারকাদের মতো রাজনীতির ময়দান ছাড়েননি। সদ্য পেয়েছেন রাজ্যে পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বও।
কৃষি ভবনের বাইরে বসে থাকা মহুয়াকে চ্যাংদোলা করে নিয়ে যাওয়ার ভিডিয়ো শেয়ার করে সায়ন্তিকা লিখলেন, ‘কাপুরুষ বিজেপি-র কাছ থেকে এর থেকে বেশি কি আর আশা করা যেতে পারে! আপনি একজন মহিলার সঙ্গে কীভাবে এমন আচরণ করতে পারেন!! আপনি মণিপুরের মহিলাদের সঙ্গে এভাবে আচরণ করেছেন, এভাবেই আপনি @mamataofficial-এর সঙ্গে আচরণ করতে চেয়েছিলেন। আপনি আপনার মহিলা এমপির সঙ্গে একইভাবে আচরণ করলেন। সংসদে শুধুমাত্র মহিলাদের আসন সংরক্ষণই কি যথেষ্ট? আপনি যখন তাদের সঙ্গে আবর্জনা ব্যাগের মতো আচরণ করেন? এটা আসলে শোভিনিজমের প্রতিফলন যা আপনার মানসিকতায় গেঁথে আছে। #shameonyoubjp’ এরপর মোদী ও শাহ-কে ট্যাগ করে সায়ন্তিকা লিখলেন, ‘বাংলায় আসুন আমরা আপনাকে দেখাব একজন মহিলার সঙ্গে কীভাবে আচরণ করা উচিত… জয়বাংলা।’
মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন মহুয়া নিজেও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ শানিয়েছেন মহুয়া লেখেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে এমনই আচরণ করা হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেখা করার জন্য সময় দিয়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করান আমাদের। তারপরও তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করেন। মোদী ও শাহের লজ্জা হওয়া উচিত।’