নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল সিবিআই।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল সিবিআই।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল সিবিআই। দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আর্জি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানায়, নিম্ন আদালতের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করা হবে না।

সিবিআইয়ের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় বলে আদালত মনে করছে। তাই তাদের আবেদনটি খারিজ করা হল। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই মামলায় আইন মোতাবেক সিবিআই কোনও স্বস্তির দাবিদার হলে তাতে বাধা দিচ্ছে না আদালত। ফলে ওই চিঠি নিয়ে বহাল থাকল পুলিশ এবং সিবিআইয়ের যৌথ তদন্তের নির্দেশ।

হেফাজতে তাঁর উপর অত্যাচার করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত এবং হেস্টিংস থানায় চিঠি লেখেন কুন্তল। চিঠির বয়ান মিথ্যা এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় বিষয়টি সিবিআইকে তদন্ত করে দেখতে বলেন। পরে এজলাস পরিবর্তন হয়ে মামলাটি বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চে যায়। সেখানেও নির্দেশ অপরিবর্তিত থাকে। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান কুন্তল। গত ৪ অগস্ট শীর্ষ আদালত পর্যবেক্ষণ, হেফাজতে নির্যাতন সংক্রান্ত চিঠির অভিযোগে কোনও মতামত দেয়নি হাই কোর্ট। তাই বিশেষ আদালতে অভিযোগ জানাতে বাধা নেই কুন্তলের। তিনি চাইলে চিঠি বিশেষ আদালতে জমা দিতে পারেন। সেই মতো আলিপুরের বিশেষ আদালতে চিঠি লিখে আবেদন করেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা।

গত ৫ সেপ্টেম্বর সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা ও কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ)-কে কুন্তলের চিঠির তদন্ত করতে নির্দেশ দেন আলিপুরের বিশেষ আদালতের বিচারক। নিম্ন আদালতের এই নির্দেশ নিয়ে আপত্তি জানায় সিবিআই। তাদের যুক্তি, হাই কোর্টের নির্দেশে ওই চিঠির তদন্ত চলছে। চিঠি সংক্রান্ত বিষয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওই তদন্তের রিপোর্ট হাই কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন আলিপুর আদালতের নতুন নির্দেশের ফলে ধন্দ তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের ৪ অগস্টের নির্দেশের ব্যাখ্যা চেয়ে নতুন আবেদন করে সিবিআই। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

en.wikipedia.org CID-র ওপর আস্থা-বিশ্বাস হারাচ্ছেন বিচারপতি বসু, CBI -এর হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ার ইঙ্গিত,