কন্ডাক্টরি করে পেট চলত রজনীকান্তের, হঠাৎই বাস ডিপোয় পৌঁছে যান, মাটি ছুঁয়ে প্রণাম করে ভিতরে প্রবেশ করেন থালাইভা

কন্ডাক্টরি করে পেট চলত রজনীকান্তের, হঠাৎই বাস ডিপোয় পৌঁছে যান, মাটি ছুঁয়ে প্রণাম করে ভিতরে প্রবেশ করেন থালাইভা। শিকড়ের টান উপড়ে ফেলা সহজ নয়। এবার যেন সেই শিকড়ের টানেই অতীতের পাতায় ফিরে গেলেন ‘থালাইভা’। একসময় বাসের কন্ডাক্টরি করে পেট চলত দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের। এবার বেঙ্গালুরুর সেই পুরনো বাস ডিপোতে আরও একবার ফিরলেন তিনি। তবে এবার কাজের জন্য নয়, কেবলই স্মৃতি হাতড়াতে। জয়নগরের বাস ডিপোয় পৌঁছে দেখা করলেন সকলের সঙ্গে, তুললেন সেলফিও। এবং তাঁর গায়ে ছিল ধবধবে সাদা পোশাক।

 

 

 

 

 

 

 

এবার তাঁর সাম্প্রতিকতম ছবি ‘জেলার’-এর জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে, তখন হঠাৎই পুরনো ডেরা জয়নগরে পা রাখলেন রজনীকান্ত। তাঁকে দেখে অবাক সেখানকার কর্মীরা। ওই বাস ডিপোর এক নিরাপত্তারক্ষী ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’-কে জানান, এক কর্মী রজনীকান্তকে প্রথম খেয়াল করেন। তারপরই থালাইভাকে ভিতরে ঢোকার জন্য অনুরোধ করেন ওই কর্মী। মাটি ছুঁয়ে প্রণাম করে ভিতরে প্রবেশ করেন। সেখানে উপস্থিত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন, সেলফিও তোলেন। এক কথায় পুরনো স্মৃতিকে আরও একটু জিইয়ে নিতেই চেয়েছিলেন থালাইভা। তবে ব্যস্ত সময়ে নয়, যে সময় অপেক্ষাকৃত ফাঁকা থাকে বাস ডিপো (বেলা সাড়ে ১২টার পর), তখনই সেখানে উপস্থিত হন তিনি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত সেখানকার কর্মীরা। যে ১৫-২০ মিনিট সময় ওই ডিপোয় কাটান রজনীকান্ত, সেখানকার ১৫০-রও বেশি কর্মী সেলফি তুলেছেন রজনীর সঙ্গে।

 

 

 

 

আরও পড়ুন – হঠাৎ কেন মুম্বইয়ের রাস্তায় নেমে এলেন সুহানা, অগস্ত্যরা?

 

 

দক্ষিণে তাঁকে ভগবানের আসনে বসিয়ে পুজো করেন মানুষজন। বিশ্বজোড়া খ্যাতি তাঁর। কেরিয়ারে একের পর এক সাফল্য এসেছে। টানা ৪৯ বছর ধরে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে যাচ্ছেন। একবার সিনেজগতে পা দিয়ে আর কোনও দিন পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। তবে শুরুটা এত সহজ ছিল না। একসময় বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন। তবে তখন তিনি রজনীকান্ত নন, পরিচিত ছিলেন শিবাজি রাও গায়কোয়াড় নামেই। এই জয়নগর বাস ডিপোই এক লহময় বদলে দিয়েছিল তাঁর জীবন। এখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় বিখ্যাত পরিচালক কে বালাচন্দ্রের। মুক্তো চিনতে সে দিন ভুল করেননি জহুরি। ১৯৯৭ সালে প্রথম ছবি ‘আবূর্ভা রাঙ্গাঙ্গাল’-এর হাত ধরেই দক্ষিণী ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেন থালাইভা।