১৮ বছরের ভারতীয় দাবা বিশ্বকাপ মাতিয়ে ঘরে ফিরলেন প্রজ্ঞানন্দ, চেন্নাই বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা

১৮ বছরের ভারতীয় দাবা বিশ্বকাপ মাতিয়ে ঘরে ফিরলেন প্রজ্ঞানন্দ, চেন্নাই বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা। দেশে ফিরলেন রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। ১৮ বছরের ভারতীয় দাবা বিশ্বকাপ মাতিয়ে দিয়েছিলেন। টুর্নামেন্ট থেকে রুপো নিয়ে ফিরেছেন তিনি। বুধবার সকালে চেন্নাই বিমানবন্দরে পা দিতেই ফুল, মালায় অভ্যর্থনায় ভেসে যান প্রজ্ঞানন্দ (R Praggnanandhaa)। দাবা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও চেন্নাইয়ের কিশোরকে নিয়ে দেশবাসীর গর্বের শেষ নেই। বিশ্বনাথন আনন্দের পর গর্ব করার মতো আরও এক দাবাড়ু পেয়ে গিয়েছে। আনন্দের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে দাবা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছেন প্রজ্ঞা। একইসঙ্গে দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে ক্যান্ডিডেটস টু্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। আগামী বছরে ক্যান্ডিডেটস টুর্নামেন্ট এখন প্রজ্ঞানন্দের যাবতীয় ধ্যানজ্ঞান। তার আগে এশিয়ান গেমসে অংশ নেবেন তিনি। এশিয়াডের প্রস্তুতি নিতে কলকাতায় আসবেন তিনি। দেশের চ্যাম্পিয়ন দাবাড়ু কলকাতায় ৩১ অগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর হতে চলা টাটা স্টিল চেস ইন্ডিয়া র‍্যাপিড ও ব্লিৎজ টুর্নামেন্ট খেলবেন। এশিয়ান গেমসের স্কোয়াডে থাকা সব দাবাড়ুই এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবেন।

 

 

 

 

 

 

চেন্নাইয়ে ফেরার পর প্রজ্ঞানন্দ পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। সেখানেও সম্মানিত করা হয় তাঁকে। আর কিছুদিন পরই প্রজ্ঞানন্দ আসছেন কলকাতায়। চ্যাম্পিয়ন দাবাড়ুকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন এ রাজ্যের দাবা উৎসাহীরা।

 

 

 

আরও পড়ুন – গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে হঠাৎ হঠাৎ গায়েব হয়ে যাচ্ছে টাকা,

 

 

 

 

চেন্নাই বিমানবন্দরে দারুণ অভ্যর্থনার পাশাপাশি উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়েন প্রজ্ঞানন্দ। প্রবল ভিড় ও চিৎকারের মাঝে খুব সংক্ষেপে প্রজ্ঞানন্দ বলেছেন, “আমার দারুণ লাগছে। দেখে ভালো লাগছে যে এত মানুষ আমার জন্য এসেছেন। এটা দাবার জন্য খুব ভালো খবর।” রাখি পূর্ণিমার শুভদিনে ঘরে পৌঁছেছেন প্রজ্ঞানন্দ। ভাইকে নিয়ে আপ্লুত তাঁর দিদি বৈশালী। চেন্নাইয়ের মানুষ যেভাবে প্রজ্ঞানন্দকে স্বাগত জানিয়েছেন তা নিয়ে বৈশালী বলেন, “আমি এমন উন্মাদনা ১০ বছর আগে দেখেছি।। যখন বিশ্বনাথন আনন্দ স্যার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন। তাঁকে এভাবেই স্বাগত জানানো হয়েছিল। আমরা ওকে রিসিভ করতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলাম। দেখে খুব ভালো লাগল যে আমরা ছাড়াও এত মানুষ ওকে ভালোবাসা দিচ্ছে।”