দেশ জুড়ে লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। তবে ভোট ঠিক কোন সময় হবে, সেই বিষয়ে এখনও চূড়ান্তভাবে কিছু জানা যায়নি। বেশ কিছুদিন আগে জানা গিয়েছিল, এ বারের ভোট এগিয়ে আসতে পারে এক মাস। তবে এখনও চুড়ান্তভাবে কিছু জানা যায়নি। তারই মাঝে লোকসভা ভোট কবে হবে, সেই বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তৃণমূলের দিল্লি যাত্রার দিনেই ‘লোকসভা ভোট ফেব্রুয়ারির শেষে হয়ে যাবে’ বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুনঃ অনলাইনে বিল্ডিং প্ল্যান জমা দেওয়া পদ্ধতিটাকেই বাতিল করর কলকাতা পুরসভা
শনিবার চাকরি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘চাকরি হবে না, লঠ হবে। আপার প্রাইমারিতে ২৭ কোটি টাকা তুলছে। ৫০০ টাকা করে পরীক্ষার ফি নিয়ে ২৭ কোটি তুলছে, ২ কোটি পরীক্ষায় খরচ হবে। পরীক্ষা কবে? ৮ ডিসেম্বর, যার রেজাল্ট লোকসভার আগে আর বেরোবে না। ফেব্রুয়ারির লাস্টে লোকসভার ভোট হয়ে যাবে, রেজাল্ট বেরোবে ন। ২৭ কোটি টাকা ফর্ম ফিল-আপ করে তুলবে, ২ কোটি পরীক্ষায় খরচ হবে। ২৫ কোটি টাকা ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাঁচানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের পিছনে ব্যয় হবে।’
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোট কবে, এই নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরেই রাজনৈতিকমহলে জল্পনা তুঙ্গে। এই বিষয়ে নানামহল থেকে নানান জল্পনা উঠে এসেছে। কয়েক মাস আগে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার দাবি করেন, এগিয়ে আসবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। আবার সাম্প্রতিক অতীতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তাঁর দাবি ছিল, নির্ধারিত সময়ের আগেই কোনও মিরাকল ঘটে যেতে পারে, কোনও যাদুবলে পড়ে যেতে পারে সরকার।
কয়ের মাস আগে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রাজ্যে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেই সময় নবান্নে দুই মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আর তো ৬ মাসের ব্যাপার, আর যদি মিরাকল কিছু ঘটে যায়, তাহলে আগেও চলে যেতে পারে। কে বলতে পারে!’
এদিকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে এদিনই দিল্লি রওনা তৃণমূলের। শেষ মুহূর্তে ট্রেন বাতিল হওয়ায়, বাসেই রাজধানী যাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লিতে ধরনা কর্মসূচি রয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। একইসঙ্গে আগামী লোকসভা ভোটে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা তথা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগকে তৃণমূল বড় ইস্যু করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের দিল্লি যাত্রার দিনেই শুভেন্দুর এহেন মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কেউ কেউ।