কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে অভিযান করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শেষ দিনের কর্মসূচির দিন কৃষি ভবনে দিল্লি পুলিশ আটক করেছিল অভিষেক সহ বাকি নেতা কর্মীদের। এরপর দিল্লি থেকেই বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযানের কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। গতকাল দুপুরে অভিষেকে নেতৃত্বে সেই অভিযান হয়। সারারাত ঘরে চলে রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ। আর এবার সেই বিক্ষোভ নিয়েই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই ধর্ণাকে ‘সস্তার রাজনীতি’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ফাঁসি নাকি বহাল যাবজ্জীবন, ১০ বছর পর কামদুনি মামলার রায় ঘোষণা আজই
শুভেন্দু এদিন লেখেন, ‘প্রথমে তারা বিচার বিভাগ নিয়েছিল। যে কোনো প্রতিকূল রায় এবং নোংরামির বন্যার দরজা খুলে যাবে। ৩য় হার তথাকথিত বক্তারা মাননীয় বিচারকের দিকে অপমানজনক গালি ছুড়বে। তাদের কোর্ট রুম জোর করে অবরুদ্ধ করা হবে এবং মামলাকারীদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হবে। মাননীয় বিচারককে অপবাদ দিয়ে পোস্টার কলকাতার কেন্দ্রস্থলে দেয়ালে লাগানো হবে, কিন্তু কলকাতা পুলিশ যারা একসময় অপরাধ সমাধানের পেশায় তাদের প্রতিযোগীদের চেয়ে ভালো বলে বিবেচিত হতো; স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, দুষ্কৃতীদের সম্পর্কে কোনও ক্লু খুঁজে পায়নি।’
এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও লেখেন, ‘রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, রাজ্যপালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এই সস্তার রাজনৈতিক নাটকের জন্য। আর পুলিশ এই কাজে সাহায্য করছে।’ প্রসঙ্গত, রাজ্য রাজনীতিতে এখন ‘জমিদারি’ শব্দটি নিয়ে ব্যাপক চর্চা হচ্ছে। তৃণমূলের মুখে শোনা যাচ্ছে ‘জমিদারি’, রাজ্যপালের বিবৃতিতেও ব্যবহার হচ্ছে ‘জমিদারি’। এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ‘জমিদারি’ নিয়ে খোঁচা দিলেন রাজ্যের শাসক শিবিরকে।
ফাঁকা রাজভবনের গেটে একশো দিনের কাজের টাকার দাবিতে প্ল্যাকার্ড। এরপর রাজভবনের কাছেই মঞ্চ বেঁধে অবস্থান, ধরনা। তাঁর বক্তব্য, রাজভবনের বাউন্ডারির বাইরে ১৫০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা। সেখানে কীভাবে তৃণমূল মঞ্চ বেঁধে অবস্থান করছে, তা নিয়েই প্রশ্ন বিরোধী দলনেতার। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘রাজভবনের সীমানা থেকে ১৫০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা। তারা যে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে সেই এলাকায় তাদের মিছিল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশেই শুধু তা লঙ্ঘন করেনি, কিন্তু এখন সেখানে ক্যাম্প করেছে। মাননীয় গভর্নরের নিরাপত্তা; যিনি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান, সস্তা রাজনৈতিক নাটকের জন্য বিপন্ন হচ্ছেন। পুলিশ এ কাজে সহায়তা করছে।’