ফাঁসি নাকি বহাল যাবজ্জীবন, ১০ বছর পর কামদুনি মামলার রায় ঘোষণা আজই

যোগেশচন্দ্র মামলায় সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

১০ বছর আগে কামদুনির সেই কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং নিশংসভাবে খুন। আজ কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলার রায়দান। ১০ বছর আগের সেই নৃশংসতা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা রাজ্যকে। আজ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ কামদুনি মামলার রায় ঘোষণা করবে। নিম্ন আদালত ছয় অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেছিল আগেই।  পরে হাইকোর্টে যায় সেই মামলা। নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজাই বহাল থাকবে কি নাকি হাইকোর্টের তরফ থেকে নতুন কোনো সাজা ঘোষণা করা হবে, সেই প্রশ্নই ঘুরছে কামদুনিবাসীর মনে।

আরও পড়ুনঃ অবশেষে স্বস্তির খবর দক্ষিণবঙ্গের, বাংলাদেশের পথে নিম্নচাপ

২০১৩ সালের ৭ জুন উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনা ঘটে। সিআইডি তদন্ত করছিল ওই মামলায়। ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে প্রমাণের অভাবে দুজনকে জামিন দেওয়া হয়। এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে মামলা চলাকালীন। কলকাতার নগদ দায়রা আদালত ছ’জন অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেছিল। দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল সইফুল মোল্লা, আনসার মোল্লা, আমিন আলি, এমানুল হক, ভোলানাথ নস্কর ও আমিনুল ইসলামকে। শরিফুল আলি, আনসার আলি ও আমিন আলিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। বাকি তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে ২০১৬ সালে আদালতের রায় শোনার পরই নিহত ছাত্রীর মা ও ভাই জানিয়েছিলেন, তাঁরা চান অভিযুক্তদের সকলের ফাঁসি হোক।

 

নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি মকুব করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। গত ২৪ জুলাই হাইকোর্টে বিচারপতি বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শেষ হয়। তবে মামলার কিছু রিপোর্ট জমা পড়া বাকি ছিল, তাই রায় সংরক্ষিত করা হয়েছিল।

 

২০১৩ সালের ৭ জুন পরীক্ষা দিয়ে কামদুনির বাড়িতে ফিরছিলেন রাজারহাট ডিরোজিও কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীটি। অভিযোগ, বাস থেকে নেমে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে রাস্তা থেকে জোর করে পাঁচিল ঘেরা একটি ঘরে নিয়ে যায় ন’জন দুষ্কৃতী। সেখানেই দফায় দফায় চলে গণধর্ষণ। এমনকী নির্যাতনের পরে ছাত্রীটিকে ভেড়িতে ফেলে যায় দুষ্কৃতীরা। এদিকে বাড়ির মেয়ের খোঁজে এলাকার লোকজনকে নিয়ে বেরিয়ে গ্রাম থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে আট বিঘে ভেড়ি অঞ্চলে একটি পাঁচিলের পাশে রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় ছাত্রীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা।

en.wikipedia.org