দোড়্রগোড়ায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট, জেলাশাসকদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক কমিশনের

দোড়্রগোড়ায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট, জেলাশাসকদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক কমিশনের

দোড়্রগোড়ায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট, জেলাশাসকদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক কমিশনের। লোকসভা নির্বাচনের বাকি আর মাত্র কয়েকমাস। ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলি ভোটের জন্য নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জোর কদমে। আর এই দৌড়ে পিছিয়ে থাকতে নারাজ  ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনও। তাই ইতিমধ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ শুরু করে দিয়েছে কমিশন। এর উদ্দ্যেশে সোমবার কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে বৈঠকে বসেন কমিশনের আধিকারিকরা।

 

এদিন মূলত জেলাশাসকদের সঙ্গেই বৈঠকে বসেন কমিশনের আধিকারিকরা। বৈঠকে কমিশনের রাজ্যের দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। রবিবার রাতেই শহরে এসে পৌঁছেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দুই ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার। সিনিয়র ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার ধর্মেন্দ্র শর্মা এবং পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার নীতেশ ব্যয়াস।

আরও পড়ুনঃ ভোটে জিতেও অধীরের গড়ে বোর্ড গঠন নিয়ে সন্ত্রাসের অভিযোগ, অর্ন্তবর্তী স্থগিতাদেশ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

সোমবার সকাল থেকেই দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হোটেলে রাজ্যের সব জেলা শাসকদের নিয়ে এক বিশেষ জরুরি বৈঠকে বসেন তাঁরা। এদিন রাজ্যের সিইও আরিজ আফতাব সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন,” আগামি লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করতে এসেছেন কমিশনের প্রতিনিধি দল। জেলাশাসকরা উপস্থিত রয়েছেন এই বৈঠকে।”

 

সূত্রের খবর, আজকের এই বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল ভোটার তালিকা সংশোধন। এর আগে বিভিন্ন সময়ে এই বিষয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ করেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। যেমন, মৃত ভোটারের নাম থেকে যাওয়া। আসল ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ চলে যাওয়া। ভুয়ো ভোটারের অস্তিত্ব থাকা। ইত্যাদি। এরকম অভিযোগকে সামনে রেখে আদপে নির্বাচন কমিশনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। পুরনো অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সেই সমস্যাগুলো সমাধান অর্থাত্‍ নির্ভুল ভোটার তালিকা কী ভাবে করা যায় সেদিকেই জোর দিতে চাইছে কমিশন।

 

১লা নভেম্বর যে খসড়া তালিকা প্রকাশ পাবে। এবং আগামী ৫ই জানুয়ারি ২০২৪ সালে যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ পাবে তা নিয়ে যেন কোনও অভিযোগ না ওঠে, তা নিয়ে সম্পূর্ণ সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এই সমস্ত বিষয়গুলোকে নজরে রাখছে সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচনের পথে যে সমস্যগুলো অতীতে হয়েছে তা যেন আগামী দিনে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে কমিশন যেমন নির্দেশ দেবে একই সঙ্গে জেলা শাসকদের কাছ থেকেও রাজ্যের পরিস্থিতি শুনবে কমিশনের আধিকারিকরা।