ভোটে জিতেও অধীরের গড়ে বোর্ড গঠন নিয়ে সন্ত্রাসের অভিযোগ, অর্ন্তবর্তী স্থগিতাদেশ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বোর্ড গঠনের আগে আদালতে ছুটেছিল অধীররা। কিন্তু তাতেও মিলল না সুরাহা। মুর্শিদাবাদের রানিনগর (Raninagar) পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির বোর্ড গঠনে অর্ন্তবর্তী স্থগিতাদেশ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high Court)। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পরবর্তী শুনানী আগামী ২০ সেপ্টেম্বর।
ইতিমধ্যে যদি বোর্ড গঠন (Raninagar) হয়েও যায় তাহলেও ২০ সেপ্টেম্বরের আগে ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করা যাবে না বলে জানিয়েছে আদালত (Calcutta high Court)। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৪ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুনঃ দেশের নাম ‘ভারত’ বিতর্কে এবার হুঙ্কার দিলীপ ঘোষের
আদালতের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থার প্রতি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা।’ একই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে অধীরের কটাক্ষ, ‘মানুষের মতামতকে পদদলিত করে তৃণমূল বাংলাজুড়ে নৈরাজ্য তৈরি করছে (Raninagar) । জানি না, এদের পেটের খিদে কতটা। সবকিছু গিলেও দিদির পেট ভরছে না, তৃণমূলের পেট না ইন্ডিয়ার গেট!’
মুর্শিদাবাদের রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন সংখ্যা ২৭। এর মধ্যে বাম-কংগ্রেস জোট জয়ী হয় ১৪টি আসনে। এর মধ্যে কংগ্রেস ৯, সিপিএম ৪ এবং আরএসপি ১টি আসনে জয়ী হয়। বাম কংগ্রেস জোটের তরফ থেকে সভাপতি করা হয় কংগ্রেসের কুদ্দুস আলিকে। অভিযোগ, গত শুক্রবার পঞ্চায়েত সমিতি কার্যালয় থেকে কুদ্দুসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আদালতে যাওয়ার পথে সম্প্রতি কুদ্দুস অভিযোগ করেন, তাঁকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন থানার বড়বাবু। ইতিমধ্যে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল ওই ভিডিও বার্তা। যদিও এই ভিডিও বার্তার সত্যতা যাচাই করেনি। কুদ্দুস গ্রেফতার হওয়ার পরই কংগ্রেসের ৩ জয়ী সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যায় তৃণমূল। সোমবার পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতির নির্বাচনের কথা ঘোষণা করা হয়। পুলিশের তরফে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়।
শাসকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয় বাম কংগ্রেস জোট। ওই মামলার শুনানিতেই রানিনগরে বোর্ড গঠনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। যদিও জোটের অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতৃত্বর দাবি, জোটের নির্বাচিত সদস্যরা তৃণমূলের উন্নয়নে সামিল হতে চাইলে তাঁরা কি বারণ করবেন?