শিলিগুড়ির একাধিক হোটেলে চলা বেআইনি দেহ ব্যবসা কারবারের পর্দা ফাঁস

শিলিগুড়ির একাধিক হোটেলে চলা বেআইনি দেহ ব্যবসা কারবারের পর্দা ফাঁস

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

শিলিগুড়ির একাধিক হোটেলে চলা বেআইনি দেহ ব্যবসা কারবারের পর্দা ফাঁস। উইকেন্ডের রাতে শিলিগুড়ি শহরের একাধিক হোটেলে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চলা বেআইনি দেহ ব্যবসার কারবারের পর্দা ফাঁস। ব্যাচেলর পার্টির নামে বেআইনি দেহ ব্যবসার আসরে বিহারের চার যুবক। শিলিগুড়ি শহরে বসে ভিনরাজ্য বিহার থেকে কলকাতা পর্যন্ত সেক্স র‍্যাকেটের জাল বিস্তার মাস্টারমাইন্ড উমেশ অগ্রওয়ালের।

 

শনিবার রাতে শিলিগুড়ি স্পেশাল অপারেশনাল গ্রুপ ও প্রধান নগর থানার যৌথভাবে গোপন অভিযানে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার মাস্টারমাইন্ড উমেশ অগ্রওয়াল সহ বিহার ও কলকাতার সাত যুবক। ধৃত কলকাতার ও হাওড়ার তিন যুবক অরবিন্দ প্রতি তিওয়ারি, ভেঙ্কটেশ কুমার ছনদ্দক,দীপক শর্মা। পুলিশে জালে গ্রেপ্তার বিহারের বাসিন্দা রবি কুমার গুড্ডু, গৌতম কুমার, অলক রাজ, দীপক কুমার। একাধিক হোটেল থেকে এই

 

যুবকদের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থাতে উদ্ধার করা হয়েছে চার মহিলাকেও। জানা গিয়েছে শিলিগুড়ি শহরে সপ্তাহে উইকেন্ড শনিবার রবিবারকে টার্গেট করে চলে শহরের একাধিক হোটেলে বেআইনিভাবে মধুচক্রের আসর বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার কারবার। মাস্টারমাইন্ড উমেশ আগারওয়াল নেতৃত্বে হোয়াটস অ্যাপ, ফোনের মাধ্যমে চলে খদ্দের ধরার পালা। সেক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহার ও শহরের বাইরের যুবকেরাই খদ্দেরের হিসেবে পছন্দের তালিকায় থাকেন। জানা গিয়েছে শিলিগুড়ি শহরে বসে রীতিমতো হোয়াটস অ্যাপ ও অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যম ধরে আগেভাগেই যুবতীদের উত্তেজনাময় ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

 

ছবির সঙ্গে রয়েছে রেট চার্ট। ছবি দেখে গ্রাহকেরা সম্মতি জানানোর পরই দর কষাকষি করে টাকা-পয়সা বুঝে নিয়ে খদ্দেরের চাহিদা মত জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হয়। কখনো গ্রাহকের বলা ঠিকানায় পৌঁছে যায় বেআইনিভাবে দেহ ব্যবসার কাজে যুক্ত মহিলারা। অনেক ক্ষেত্রে উমেশের কাঁধের পরে পুরো দায়িত্ব দিয়ে মোটা টাকার ছুড়ে দেন গ্রাহকরা। শিলিগুড়ি শহরে বসে উমেশ লোক চক্ষু ও আইনের চোখকে ফাঁকি দেওয়া যায় এমন সুবিধেজনক জায়গা চিহ্নিত করে পছন্দ সই হোটেল থেকে রুম ভাড়া করে জানিয়ে দেন গ্রাহককে।

 

সেমতো সপ্তাহের ছুটির দিনে ভিন রাজ্য ও বাইরে থেকে যুবকেরা এসে শহরে বিভিন্ন হোটেলে উঠতেই পূর্ব নির্ধারিত সময়মতো পৌঁছে যায় বেআইনি কারবারে যুক্ত মহিলারা। শনিবার রাতে বিহারের চার যুবক শিলিগুড়ির শালবাড়ির একটি রিসোর্ট এসেছিল ব্যাচেলার পার্টির আড়ালে নারী সঙ্গ যৌন আসক্তিতে বেআইনি দেহ ব্যবসার আসরে নাম লেখায়। মাস্টারমাইন্ড উমেশ আগারওয়ালকে লোক চক্ষুর আড়ালে বিলাস বহুল হোটেল, মদের ফোয়ারা ও নারী চক্রের বন্দোবস্ত করে দেওয়ার জন্য ১৮ লক্ষ টাকার চুক্তি স্থির হয়।

আরও পড়ুন – এবার নয়া দুর্নীতি নিয়ে বোমা ফাটালেন দিলীপ ঘোষ, কি সেই দুর্নীতি

তবে ডর কষাকষি করে এই যুবকেরা ৭ লক্ষ টাকা দেয় উমেশকে। এদিন রাতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে ভানু নগরের বাসিন্দা দেহ ব্যবসার কারবারি মাস্টারমাইন্ড উমেশকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। আপত্তিকর অবস্থাতে গ্রেপ্তার করা হয় দেহ ব্যবসার আসর থেকে বিহারের চার যুবক ও কলকাতা থেকে আসা তিন যুবককে। রবিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

 

শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন- শহরের ভেতরে বেআইনি দেহ ব্যবসার কার বার চলছে সে খবর পৌঁছায় আমাদের কাছে। হেমন্ত একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে চার যুবতীকে উদ্ধার করা হয়। বেআইনি দেহ ব্যবসার মাস্টারমাইন্ড সহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে এই চক্রের জাল কতটা বিস্তৃত, কে বা কারা জড়িত রয়েছে সমস্তটা তদন্ত করবে পুলিশ।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top