ঢাকা: পারিবারিক অত্যাচারের অভিযোগে কারাগারে বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক-অভিনেতা হিরো আলম l শ্রীঘর থেকে ফিরেই রাজনীতির মাঠে নেমে পড়েছিলেন৷ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় পার্টির বড়সড় পদ৷ দলের সাংস্কৃতিক শাখার কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদকের পদে বসানো হয়েছিল তাঁকে৷ এবার বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন তিনি৷ শনিবার সন্ধেবেলা এই খবর নিশ্চিত করেছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম৷ তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি সদর উপজেলার এরুলিয়াতে, তাই এবার আমিই সদর আসনে নির্বাচনে লড়ছি৷ মনোনয়ন দিতে চেয়ে দলের কাছে বলেছি৷ আশা করি, আমার জনপ্রিয়তার কথা বিবেচনা করবে দল৷’
হিরো আলম ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, দলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিতে না পারলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে উপনির্বাচনে লড়বেন তিনি৷ এর আগে একাদশ সংসদীয় নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা৷ আদতে বগুড়ার সদর উপজেলার কেবল ব্যবসায়ী আশরাফুল হোসেন আলম কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘হিরো আলম’ নামে জনপ্রিয় হন৷ গত নির্বাচনে জাতীয় পার্টির হয়ে মনোনয়ন পেশের ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও, তা হয়নি৷ তাই নির্দল হিসেবে লড়াইয়ে নেমে মাত্র ৬৩৮টি ভোট পাওয়ায় হিরো আলমের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়৷ ওই নির্বাচনে বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে জয়ী হওয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নেওয়ায় সেখানে ফের নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন৷ আর সেখানেই সুযোগ বুঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান হিরো আলম৷
মাসখানেক আগে স্ত্রীর উপর অত্যাচার করার অভিযোগে হিরো আলমকে শ্রীঘরে পাঠিয়েছিল আদালত৷ যৌতুকের দাবিতে দাম্পত্য অশান্তিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে৷ তবে হিরো আলম সেই অভিযোগ খারিজ করে দাবি করেছিলেন, মডেলিং, মিউজিক ভিডিওয় তাঁর কেবল ব্যবসার মালিকানা স্ত্রীকে দিয়ে দিয়েছিলেন৷ স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন সেই ব্যবসায় টাকাপয়সা তছরূপ করার পর কেলেঙ্কারি থেকে বাঁচতে তাঁর দিকে তির ঘুরিয়ে দিয়েছেন৷ যদিও হিরো আলমের এসব যুক্তি আদালতের ধোপে টেকেনি৷ শ্রীঘর থেকে বেরিয়ে এবার রাজনৈতিক কেরিয়ার কতটা মসৃণভাবে এগোয়, সেদিকে নজর থাকবে বাংলাদেশবাসীর৷