ধানের গাদায় আগুন লাগানোর ঘটনায় বিজেপির দিকে আঙুল তুলল তৃণমূল। শুক্রবার গভীর রাতে জমি থেকে তুলে আনা খড় সহ ধানের গাদায় লাগার ঘটনা ঘটল। তবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।দমকল কর্মীদের প্রচেষ্টায় ফসল সম্পূর্ণ পুড়ে নষ্ট হয়নি। ফলে ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের অভিযোগ, এই আগুন লাগিয়েছে বিজেপির কর্মীরা।যদিও বা বিজেপি অভিযোগটি অস্বীকার করেছে।এর ফলে গোটা ঘটনায় শনিবার দিনভর রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল রায়গঞ্জ থানার ঘুঘুডাঙা এলাকায়।
স্থানীয়জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা হঠাৎ দেখতে পান ঘুঘুডাঙা এলাকার বাসিন্দা যোগেশ্বর বিনের ধানের গাদায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।এরপরই গ্রামবাসীরা যোগেশ্বর বিনকে খবর দেন এবং স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন।তারা এলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।এই ঘটনায় শত্রুতার অভিযোগ তুলেছেন যোগেশ্বর বিন। তিনি জানান, শত্রুতার জেরে কেউ এই কাজ করে থাকতে পারে। মারাইয়ের জন্য প্রায় তেরো বিঘা জমির ধান বাড়ির পাশের মজুত করে রেখেছিলো সে।
আরও পড়ুন – মহার্ঘ্যভাতা অবিলম্বে প্রদানের দাবি তুলে শিলিগুড়ি মহকুমা শাসকের দফতরে অভিযান
সেই ধানের গাদায় আগুন লাগার ঘটনায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা মত ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে তাঁর।তবে অন্য কোনো কারণে আগুন লেগেছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেছেন যোগেশ্বর। অন্যদিকে, এই ঘটনায় রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ললিত প্রসাদ বিন।তিনি বলেন, যেহেতু তাঁরা তৃণমূল করেন এবং সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই কেউ চক্রান্ত করে এই আগুন লাগিয়ে থাকতে পারে।
এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারকে জিজ্ঞেস করা হলে বাসুদেব বাবু বলেন, এটা ওদের দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফলে ঘটে থাকতে পারে। নিজেদের দূর্বলতা ঢাকতে আমাদের ওপর দোষ চাপিয়েছে।
দমকল কর্মী শুভজিৎ বিশ্বাস বলেন ,আশেপাশে বসবাসের ঘরবাড়ি ছিল, তবে তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে এবং তেমন কোনো বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।