দুর্দিনে বাড়িতে ঠাঁই, সেই বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে বাংলাদেশি যুবক,

এক

দুর্দিনে বাড়িতে ঠাঁই, সেই বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে বাংলাদেশি যুবক,বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ভিন্‌রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে আলাপ-পরিচয়। বন্ধুত্বও হয়। পরে সেই যুবককে নদিয়ার বাড়িতে আশ্রয়ও দেন পরিযায়ী শ্রমিক। তৈরি করে দেন আধার কার্ডও। আশ্রয়দাতা সেই বন্ধুকে খুনের অভিযোগ উঠল ওই বাংলাদেশি যুবকের বিরুদ্ধে। নদিয়ার ভীমপুর থানার কৃষ্ণপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম সাহাবুল শেখ। বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের দাবি, বাড়িতে থাকার সময় বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ইন্নাল হালসনা নামে ওই অভিযুক্ত যুবক। তা জানতে পেরে তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছিলেন সাহাবুল। সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতেই খুন করেছেন ইন্নাল। পরিবারের এই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার তাঁকে কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

 

 

 

ইন্নালকে নিজেদের হেফাজতে পাওয়ার লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ইন্নাল বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার কুটি-দুর্গাপুরের উত্তর ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা। কাজের সূত্রে ২০১৫ সালে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে আসেন ইন্নাল। কাজও পান কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে। সেখানেই সাহাবুলের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। পরে পর্যায়ক্রমে বন্ধুত্ব থেকে নদিয়ার বাড়িতে ঠাঁই। ইন্নালকে জিজ্ঞাসাবাদ ও সাহাবুলের পরিবারের বয়ানের ভিত্তিতে প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রতিশোধ স্পৃহা থেকেই সাহাবুলকে খুন করা হয়েছে। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।’’

 

 

 

 

আরও পড়ুন –   বিজেপি কর্মীকে খুনের চেষ্টা ! পৌরপ্রধানের ছেলের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ,

 

 

 

সাহাবুলের পরিবার জানিয়েছে, সোমবার রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান ইন্নাল। সাহাবুল সেই রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পর দিন বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে জঙ্গল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সাহাবুলের ফোনটিও মিলেছে। দেখা গিয়েছে, রাত ৮টা নাগাদ শেষ ফোনটি এসেছিল ইন্নালের নম্বর থেকে। পরিবারেরই দাবি, সাহাবুলকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ঠান্ডা মাথায় গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করেছেন ইন্নাল। সাহাবুলের ভাই নাজিবুল শেখ বলেন, ‘‘ইন্নাল আমাদের বাড়ির সদস্য হয়ে উঠেছিল। সে এই ঘটনা ঘটাবে ভাবতেই পারিনি। প্রথমে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়াল। এ বার সেই বন্ধুকেই খুন করে দিল। আমাদের সর্বনাশ করে দিল ইন্নাল! ওঁর ফাঁসি চাই।’’