ছেলের জন্য হোম যজ্ঞে ‘ষষ্ঠীপুজোর’ আয়োজন অনীকের পরিবারে

ছেলের জন্য হোম যজ্ঞে 'ষষ্ঠীপুজোর' আয়োজন অনীকের পরিবারে

কিছুদিন আগেই দ্বিতীয় বারের জন্য বাবা হয়েছে সংগীত শিল্পী অনিক ধর। পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি। মেয়ে অ্যাদ্যার পর ছেলে। নাম রেখেছেন আদবান। প্রতি মুহূর্ত ছোট্ট প্রাণের বড় হওয়া উপভোগ করছেন তিনি। আর এবার সেই ছেলে বাড়ি আসার পর ছেলে ও পরিবারের মঙ্গল কামনায় পুজো করলেন অনীক। ছেলে আদবানের জন্য জমজমাট ষষ্ঠী পুজোর আয়োজন করেছেন তিনি। সেই আনন্দের মুহুর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাগ করে নিলেন সংগীত শিল্পী।

আরও পড়ুনঃ ভরদুপুরে কেঁপে উঠল রাজধানী, আতঙ্কে দিল্লিবাসী

সন্তান জন্মানোর পর তাঁর মঙ্গল কামনায় পরিবারে পূজার্চনা করা হয়ে থাকে। অনীকের পরিবারেও তার অন্যথা হল না। ছেলে বাড়ি আসতেই জমজমাট আয়োজন। অনীক সেই সুন্দর মুহূর্তের ছবি ভাগ করে লিখলেন, ‘আদবান-এর মঙ্গল কামনায় বাড়িতে স্বপরিবারে ষষ্ঠী পুজোর আয়োজন। আমাদের কূল পুরোহিত শ্রী বাসুদেব চক্রবর্তী মহাশয় ও পরিবারের সকল সদস্যদের পাশে পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি।

 

ম্যাচিং ধুতি-পাঞ্জাবীতে একদিকে সেজে অনীক। তো অন্যদিকে, লাল ঢাকাই, সিঁদুর-গয়নায় বাঙালিয়ানা সাজে স্ত্রী দেবলীনা। পরিবার-পরিজন সকলকে নিয়ে ধুমধাম করে অনুষ্ঠান। তোয়ালে মুড়ে ছোট্ট আদবান তখন বাবার কোলে ঘুমিয়ে। চলছে পুজোপাঠ। পুরোহিত আশীর্বাদ করছেন দু’হাত ভরে। মা-বাবার সঙ্গে মানানসই পোশাকে সেজেছে আদ্যাও। লাল-সাদা গাউন, মাথায় ক্রাউন একেবারে অন্যরকম দেখাচ্ছে তাকে। আর হবে নাই বা কেন? বড় দিদি বলে কথা!

 

স্বপরিবারে ছবি যেমন রয়েছে, তেমনই আবার অনীক-দেবলীনাও একান্তে সুন্দর পোজ দিয়েছেন। অনীকের মা-বাবার ছবিতে বহু ভক্তকে দাদু-ঠাকুমা হিসেবে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গিয়েছে। কেউ বলেছেন, ‘কী অপূর্ব দাদু-ঠাকুমা’। কেউ আবার লিখেছেন, ‘অনীকের মা রত্নগর্ভা।’ বাড়ির কুলপুরোহিতকে নিয়ে এসে মহা সমারোহে হয়েছে অনুষ্ঠান। যা দেখে সকলেই মুগ্ধ বলা যেতে পারে।

 

অনীকের পরিবার-পরিজন সকলকে নিয়ে এমন উৎসবে মেতে ওঠা অনেকেই প্রশংসায় ভরিয়েছেন। অনেকেরই মত, ‘আজকের দিনে এমন পরিবার নিয়ে নিজের সংস্কৃতিকে আগলে রাখা খুব কমই চোখে পড়ে।’ প্রসঙ্গত, ছেলের জন্মের পর বেশকিছু ছবি ভাগ করে নিয়েছেন অনীক।

 

সন্তানকে নিয়ে গৃহপ্রবেশ থেকে শুরু করে প্রতিটা ছোট ছোট মুহূর্ত উদযাপন করছেন তাঁরা। আদবান-এর জন্মের পর অনীক লিখেছিলেন ‘তাঁদের পরিবারে ঈশ্বর আশীর্বাদ প্রদান করেছেন।’ স্ত্রী-মেয়ে-ছেলে সকলকে নিয়ে ছবি ভাগ করেছিলেন হাসপাতাল থেকে।

en.wikipedia.org