পঞ্চায়েতের আগেই সামনে আসবে সিপিএমের দুর্নীতির তালিকা,বললেন মন্ত্রী

পঞ্চায়েতের আগেই সামনে আসবে সিপিএমের দুর্নীতির তালিকা,বললেন মন্ত্রী , বাম জমানায় দুর্নীতির ময়নাতদন্ত হবে, নির্দেশ দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শীঘ্রই বের হবে দুর্নীতির শ্বেতপত্র, বলছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। কিন্তু, কবে? তা নিয়ে চাপানউতর চলছিলই। এরমধ্যে এবার দুর্নীতির খতিয়ান প্রকাশের দিনক্ষণ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick)। বললেন, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে সিপিআইএমের (CPIM) চিরকুটের তালিকা প্রকাশ হবে। বুধবার বনগাঁর এক দলীয় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর মিলিয়ে পার্থ বলেন, “সিপিএমের আমলে যাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে তারা কেউ রবীন্দ্রনাথ বা বিদ্যাসাগর নয়, চিরকুটের তালিকা তৈরি হচ্ছে। আগামীতে সামনে আসবে।” একইসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়েও।

 

 

 

 

 

পার্থর এই মন্তব্যে সিপিএমের বনগাঁ শহর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুমিত কর বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর এখনও পর্যন্ত সিপিএমের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেনি। আমরাও চাই তালিকা সামনে আসুক। কিন্তু ওরা কোনওদিন পারবে না।” কটাক্ষ করেছেন বিজেপি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল। তিনি বলেন, “তৃণমূল যদি দূর্নীতির সঙ্গে যুক্ত না হয় তাহলে তৃণমূলের যে নেতারা ধরা পড়েছেন তারা কারা। ওদের কথা মানুষ আর শুনছে না।” এদিকে কিছুদিন আগেই আবার সিপিএমের পার্টি প্যাডে লেখা একটি চাকরির সুপাপিশপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যে চিরকুটে পশ্চিমবঙ্গের এক বাম কর্মী দলীয় নেতৃত্বের কাছে চাকরির দাবি করেছেন বলে দেখা যায়। এই চিরকুট সামনে এনে তদন্তের দাবি করেছেন কুণাল। যদিও এ ইস্যুতে লাগাতার সুর চড়িয়েছেন সুজন চক্রবর্তী, সুশান্ত ঘোষদের মতো বাম নেতারা। তাঁদের সাফ দাবি, সিপিএম জলের মতোই স্বচ্ছ। আগেও তদন্তের কথা বলেছিলেন মমতা। কিন্তু, বাম আমলে দুর্নীতির কোনও প্রমাণই তাঁরা সামনে আনতে পারেনি।

 

 

 

আরও পড়ুন –পুরসভায় দুর্নীতি! তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি সুকান্তর

 

 

 

তবে নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে এদিন তা স্বীকার করে নিয়েছেন পার্থ। যদিও তাঁর সাফ দাবি, সেই দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই। পার্থর কথায়, “একটা চক্র নিজেদের স্বার্থে এই কাজ করেছে। তাদের দায় দল নেবে না। আদালত যা শাস্তি দেবে দল সেটা মেনে নেবে।” যদিও পার্থকে পাল্টা আক্রমণ করেছে সিপিএম, বিজেপি।