অবশেষে খাঁচায় বন্দি চিতাবাঘ

অবশেষে খাঁচায় বন্দি চিতাবাঘ। টানা ১০ দিন বনকর্মীদের নাকাল করে শেষমেশ খাঁচায় ধরা দিলেন তিনি। এক দুই করে টানা ১০ দিন শিলিগুড়ি জংশন এলাকার ডিএমইউ শেডের পরিত্যক্ত ঝোপঝাড়ে রেল কর্মীদের আতঙ্ক বাড়িয়ে লুকোচুরির পর্ব চুকিয়ে সশরীরে সোমবার খাঁচায় ধরা দেয় পুরুষ চিতা বাঘটি। গত ১৯ শে জানুয়ারি শিলিগুড়িতে জংশন ইয়ার্ডে ডিএমইউ শেডে চিতা বাঘ দেখা মেলাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। রেল কর্মীরা জানান ডিএমইউ শেডের পরিত্যক্ত ঝোপঝাড়ে একটি চিতাবাঘর দেখা গিয়েছে।

 

এরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সুকনা ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়ার্ড এর বন কর্মীরা। এরপর থেকেই লাগাতার জংশনের ডিএমইউ শেডের কাছে পরিত্যক্ত ঝোপঝাড়ে দিনরাত কড়া প্রহরায় মোতায়েন করা হয় শুকনা ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়ার্ড এর বনকর্মীদের। দিনভর নজরদারির চালায় বন কর্মীরা। প্রথম দিন থেকে ২ দফায় প্রতিদিন সার্চ অপারেশন চালানো হয়। তবে সে চিতা বাগে আসা তো দূর তার দেখা মেলেনা বনকর্মীদের। সুকনা রেঞ্জের তরফে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচাও পাতা হয়।চার পাঁচ দিন পেড়িয়ে যাবার পর তাতেও প্রায় ব্যর্থ পরিণতি নিশ্চিত ধরেই নিয়েছিলেন বন কর্মীরা। বন দপ্তরের অনুমান করে হয়তো চা বাগান সংলগ্ন করিডর দিয়ে বনাচ্ছলের দিকে চলে গিয়েছে চিতাটি।

 

দিনের পর দিন পেরিয়ে গেলেও চিতাটি বাগে আনা সম্ভব না হওয়ায় রেল কর্মীদের মধ্যে একটা চাপা আতঙ্ক ছিলই।অবশেষে সোমবার সকালে রেল ইয়ার্ডের রেল কর্মীরা কাজে যোগ দিতে এসে দেখেন সশরীরে খাঁচায় বন্দি রয়েছে চিতা। এরপরই সুকনা বন দপ্তরকে বিষয়টি জানান তারা। সুকনা বনদপ্তরের ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়ার্ডের রেঞ্জার দীপক রসাইলি জানান সকাল ৭-৭.৩০টা নাগাদ বিষয়টি জানাতে পারি। মূলত ভোর রাত নাগাদ খাঁচায় ধরা দিয়েছে চিতাটি বলে মনে করা হচ্ছে। খবর মেলার পর সারুগাড়া রেঞ্জকে জানানো হয়। কারন তারাই খাঁচা বন্দি চিতটিকে উদ্ধার করে বেঙ্গল সাফারিতে নিয়ে গিয়েছে।

 

জানা গিয়েছে এইটি পুর্ন বয়স্ক পুরুষ চিতা।বেঙ্গল সাফারির বন্যপ্রাণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসায় রাখা হয়েছে চিতাটিকে। এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন রাজেন্দ্র জাখর বলেন চিতাটি খাঁচাবন্দি হয়। সারুগাড়া রেঞ্জ উদ্ধার করে বেঙ্গল সাফারিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে পাঁচ থেকে সাতদিন পর্যবেক্ষনে রাখার পর গভীর বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া হবে। এদিকে চিতা খাঁচা বন্দি হতেই স্বস্তি ফিরলো পুরনিগমের এক নম্বর ওয়ার্ডের জংশন সংলগ্ন এলাকায়। খাঁচায় বন্দি