থিম নয় সাবেকিয়ানার ছোঁয়া নারায়ণপুর এর সম্প্রীতির দুর্গা পূজা

থিম নয় সাবেকিয়ানার ছোঁয়া নারায়ণপুর এর সম্প্রীতির দুর্গা পূজা। বর্তমান যুগে শারদীয়ার দুর্গা পূজা মানে বড় বড় প্যান্ডেল আর দামি দামি প্রতিমা তার সাথে চোখ ধাঁধানো আলোক সজ্জা । শহর কিংবা গ্রামে,সর্বত্রই পুজো আয়োজকরা প্রতিযোগিতা মূলক থিম নির্বাচন করেন। যার মাধ্যমে দর্শক টানার প্রতিযোগিতা বলাও যায়। কিন্তু উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় এমনও কিছু পুজো আছে যা সাবেকিয়ানার নিদর্শন বহন করে চলেছে।

 

এমনও একটি পূজা সাবেক পশ্চিম দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের নারায়ণ পুর সার্বজনীন দুর্গা পূজা। এই পূজা এবার ১৬৩ তম বর্ষে পদার্পন করেছে। এলাকায় এই পুজো হিন্দু-মুসলিমের সম্প্রীতির পুজো বলেই পরিচিত। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, নারায়ন পুরের এক ধনী ব্যক্তি নারায়ণ পাঠক।

 

আশির দশক পর্যন্ত এই পুজো ছিল পারিবারিক পুজো। পরে জমিদারি প্রথা উঠে যাওয়ার পর এই পুজো বন্ধ হওয়ার মুখে চলে এসেছিল। উল্লেখ্য এলাকাটি মুসলিম সম্প্রদায়ের সংখ্যা বেশি,এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের খুব কম। শেষ পর্যন্ত এলাকার বেশ কিছু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এগিয়ে আসে এই পুজোটিকে বাঁচানোর জন্য। আশির দশক থেকে শুরু হয়ে যায় সার্বজনীন হিন্দু মুসলিমের সম্প্রীতির পূজা।সেই থেকে আজও এই দুর্গা পূজার মাধ্যমে এক সম্প্রীতির সাক্ষ্য বহন করে চলেছে চোপড়ার নারায়ণ পুরের সম্প্রীতির দুর্গা পূজা।

আরও পড়ুন – ভাষা সমস্যায় পথহারা তেলেঙ্গানার এক অসহায় ব্যক্তিকে ঘরে ফিরিয়ে নজীর

এই পুজোর পুরোহিত তথা পুজো প্রতিষ্ঠাতা পাঠক পরিবারের উত্তরসূরী দিবাকর মিশ্র। পুজো কমিটির সভাপতি বিদ্যা রায় কুপাত আলি মন্টু ওরাও রা আজও হাতে হাত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সকলের সহযোগিতা নিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন শতাব্দি প্রাচীন সাবেকিয়ানার ছোঁয়ার এই পুঁজটিকে। এখানে থিম আলোক সজ্জা দামি প্যান্ডেল ও দামি প্রতিমা না থাকলেও , আছে , নিষ্ঠার পূজা, ও সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। এই পুজোতে এলে অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাবে – ধর্ম যার যার উৎসব সবার।