মাছ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে শিক্ষামূলক ভ্রমণ লক্ষিকান্ত বর্মনের বাড়িতে

মাছ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে শিক্ষামূলক ভ্রমণ লক্ষিকান্ত বর্মনের বাড়িতে।। মাথাভাঙ্গা দুই নাম্বার ব্লকের নিশিময়ী হাই স্কুলের জীব বিদ্যা বিভাগ এর তরফে ছাত্রছাত্রীদের মাছ চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে বৃহস্পতিবার এক শিক্ষামূলক ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয় ১৩ জন ছাত্রছাত্রী সহ দুজন শিক্ষক উপস্থিত হন উত্তরবঙ্গের মাছ পাগল দাদুর বাড়িতে। লক্ষীকান্ত বর্মন এর বাড়িতে, সেখানে তারা মাছ চাষের খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা করেন। লক্ষীকান্ত বাবু জানান, মাছ চাষ অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসায়িক মাধ্যম।

 

নতুন প্রজন্ম মাছ চাষের প্রতি আকর্ষিত হলে আখেরে লাভ হবে। এই ছাত্রছাত্রীরা এদিন প্রথমেই লক্ষীবাবুর হ্যাচারিতে গিয়ে উপস্থিত হন। সেখানে কিভাবে ডিম ফোটানো হয়, ডিম থেকে চারা মাছ উৎপাদন হয়, কৃত্রিম উপায়ে কিভাবে মাছের মধ্যে ডিম উৎপাদন করা যায়, মাছ বড় হলে পুকুরে কিভাবে লালন পালন করা হয় এই বিষয়গুলি নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। এরপরে তারা পৌঁছে যান লক্ষীবাবুর বাড়িতে। সেখানেই রয়েছে উত্তরবঙ্গের অন্যতম এবং একমাত্র নাদিয়ালি মাছের সংগ্রহশালা।

 

মোট ১৫৬ প্রজাতির মাছ এর সংগ্রহশালা দেখেন ছাত্রছাত্রীরা। প্রতিটি মাছের নাম, বিজ্ঞানসম্মত নাম,কিভাবে বিলুপ্ত হলো এই মাছগুলি তার কারণ একজন শিক্ষকের মতো ব্যাখ্যা করেন লক্ষী বাবু। শিক্ষক অনুপ আচার্য বলেন, এই ধরনের শিক্ষামূলক ভ্রমণের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানের ছাত্র-ছাত্রীরা উত্তরবঙ্গের মাছ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। হাতের কাছেই এত সুন্দর একখানি সংগ্রহশালা থাকার পরেও তারা যদি মাছ সম্পর্কে না জানতে পারে সেটা ঠিক হয় না।

 

অপরদিকে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পারমিতা বর্মন, লক্ষ্মী রানী মল্লিক, বিক্রম বর্মন, সোনালী সরকার, জয়দীপ বর্মন রা বলেন, আমরা ভবিষ্যতে জীববিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছি, তাছাড়া উত্তরের মাছের প্রতি আমাদের আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। লক্ষী বাবু আমাদের যথেষ্ট ভালোভাবে মাছ সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। অনেক কিছু জানার বাকি রয়ে গেল পরবর্তীতে আবার আসবো এমনটাই ইচ্ছা আছে।