স্ত্রী ও কন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যবসায়ী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটানাটি ঘটেছে হাওড়ার লিলুয়া থানা এলাকার বেলগাছিয়া। ঘর থেকে পচা গন্ধ বেরোচ্ছে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তিনজনের দেহ উদ্ধার করে। ম্মৃতদের নাম অভিজিৎ দাস (৪৭), দেবযানি দাস (৪২) এবং তাঁদের কন্যা সাম্রাজ্ঞি দাস (১৩) বলে পুলিশ জানিয়েছে। তিনটি দেহই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে এখনও অন্ধকারেই পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলগাছিয়ার আই রোডে যেখানে ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি সেই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই জল জমে আছে। জল কিছুটা পচে গিয়েও কিছু কিছু এলাকায় গন্ধ ছড়িয়েছে। ফলে ব্যবসায়ী এবং তাঁর স্ত্রী ও কন্যার শরীরে পচন ধরলেও প্রাথমিকভাবে এলাকাবাসী সেটাকে পচা জলের গন্ধই মনে করেছিলেন।
আর ও পড়ুন কলকাতা এবং সংলগ্ন শহরতলীতে বাড়ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ
দোতলা বাড়ির যে ঘরটিতে ঘটনাটি ঘটেছে এদিন সেই ঘরটি থেকে উৎকট গন্ধ বেরোতে থাকে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে এই পরিবারটিকেও দেখা যাচ্ছে না। এরপরেই স্থানীয় লোকের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তিনজনের দেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ঘরে মেয়ে এবং আরও একটি ঘরে স্ত্রী’র দেহ পড়ে ছিল। যে ঘরে স্ত্রী’র দেহ ছিল সেই ঘর থেকেই ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের প্রাথমিকনুমান, হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে ওই ব্যাবসায়ী স্ত্রী ও মেয়েকেখুন করে। পরে তিনি আত্মঘাতী হন। ঘটনাস্থল থেকেই হাতুড়িটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, অভিজিতের স্ত্রী’র চিকিৎসা চলছিল। ফলে আর্থিকভাবে কিছুটা মানসিক কষ্টেও ছিলেন তিনি। সেই সমস্যা থেকে এই ঘটনা না অন্য কোনও কারণ রয়েছে সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্ত্রী ও কন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যবসায়ী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটানাটি ঘটেছে হাওড়ার লিলুয়া থানা এলাকার বেলগাছিয়া। ঘর থেকে পচা গন্ধ বেরোচ্ছে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে তিনজনের দেহ উদ্ধার করে। ম্মৃতদের নাম অভিজিৎ দাস (৪৭), দেবযানি দাস (৪২) এবং তাঁদের কন্যা সাম্রাজ্ঞি দাস (১৩) বলে পুলিশ জানিয়েছে। তিনটি দেহই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
