রাজ্যের মানুষকে গুন্ডাদের হাতে তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, অভিযোগ দিলীপ ঘোষের । বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ রবিবার নিউ টাউন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শহরে একের পর এক গুলির ঘটনায় মহানগর কতটা সুরক্ষিত এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন মহানগর বলে আমাদের একটু চোখে বেশি পড়ছে।
জেলায় জেলায় যে ধরনের অসামাজিক কাজ কারবার শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর আর এখানকার রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাই রাজ্যের মানুষকে এখানকার গুন্ডাদের হাতে তুলে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, একই দিনে দুজন কাউন্সিলর মারা গেছেন হোলির দিন পরের দিন চলছে প্রকাশ্যে দিনের বেলা গুলি চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা ঘুরে পুলিশ তার পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছে সবাই জানে যারা করছে তারা বারে ব্রণ ক্রিমিনাল তাদের নামে অনেক কিছু আছে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে । রোজ এরকম করছে তারা ধরা পড়ছে না ধরা পড়লে একজন লোকও সাজা পাচ্ছে না।
আরও পড়ুন – শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপটি আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে
বাবুল সুপ্রিয় প্রচারে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করেছেন সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি উনাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই সবে টুপি পড়লেন লুঙ্গি কবে পরতে চলেছেন সেটা জানাবেন? কে জোকার সেতো দেখেছেমানুষ। কে জামা চেঞ্জের মতো করে পার্টি চেঞ্জ করে যারা আদর্শ নিয়ে আছেন নৈতিক দিক দিয়ে হেরে গেছেন হাতে-পায়ে ধরে মন্ত্রী হওয়ার তালে আছেন মন্ত্রিত্ব চাই। একটা গাড়ি চাই এটাই জীবনের লক্ষ্য এখন উনার।
পশ্চিমবাংলায় নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে এটা কল্পনাও করা যায় না বলে তিনি বলেন, পরপর নির্বাচন হচ্ছে আমরা দেখছি পুলিশ চোর ধরা বন্ধ করে বিরোধীদের আটকাতেই ব্যস্ত পশ্চিমবাংলার আইন-শৃংখলার দুরবস্থা হয়েছে এখানেও পুরো শক্তি দিয়ে জোর করে ভোট করার চেষ্টা হবে।
১২ বছরের উর্ধ্বে শিশুদের টিকা করন প্রসঙ্গে তিনি বলেন অনেক জায়গায় শুরু হয়ে গেছে আগে থেকে। পশ্চিমবাংলায় শুরু হলো এখন। করোনা আছে, আমরা দেখেছি আবার ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । সেই জন্য স্বাভাবিকভাবে সতর্ক থাকা উচিত।
রানাঘাটে বিধায়ক এর উপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন দু’দিন আগেই আমাদের ওপর জেলা প্রেসিডেন্ট কল্যান চৌবে এর উপর আক্রমণ হয়েছে কালকে জগন্নাথ সরকারের ওপর আক্রমণ হয়েছে। আমরা দেখছি দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বন্দুক চালাচ্ছে। সেখানে সুরক্ষিত কে সরকারি যারা মন্ত্রী এমএলএ। রাজ্য সরকার তাদেরকে সিকিউরিটি দিয়ে দিচ্ছে। কত জন নেতাকে মন্ত্রীকে সিকিউরিটি দেওয়া সম্ভব। সাধারণ মানুষের কি হবে বলেও তিনি প্রশ্ন তোলেন।