আনুষ্ঠানিক ভাবে বিধানসভায় খাতা খুলল কংগ্রেস, বিধায়ক পদে শপথগ্রহণ করলেন সাগরদীঘির বাইরন বিশ্বাস

আনুষ্ঠানিক ভাবে বিধানসভায় খাতা খুলল কংগ্রেস, বিধায়ক পদে শপথগ্রহণ করলেন সাগরদীঘির বাইরন বিশ্বাস।সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয়ের পর বায়রন বিশ্বাসের হাত ধরে আগেই বিধানসভায় স্থান পাকা করেছিল কংগ্রেস। বুধবার বিধায়ক হিসাবে শপথগ্রহণের পর এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে বিধানসভায় খাতা খুলল তারা। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ের ২২ দিন অবশেষে বিধায়ক পদে শপথগ্রহণ করলেন কংগ্রেসের বাইরন বিশ্বাস। বাইরনের শপথগ্রহণ নিয়ে জটিলতা কেটে গিয়েছিল মঙ্গলবারই। এর পর বুধবার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার বিমান ছাড়াও বাইরনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিষদীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু। ছিলেন বিজেপির তিন বিধায়ক অম্বিকা রায়, সত্যেন রায় এবং বঙ্কিম ঘোষ। শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান শেষে পুষ্পস্তবক দিয়ে বাইরনকে শুভেচ্ছা জানান বিজেপির এই তিন বিধায়ক।

 

 

 

 

 

 

২ মার্চ তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে হারিয়ে সাগরদিঘির উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বাইরন। নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে জয়ীর শংসাপত্র পেয়ে গেলেও বাইরনের শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সাগরদিঘিতে জয়ের পরেই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বাইরন। বিধানসভায় এসে দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের সমর্থন পেয়ে জিতেছেন। স্পিকারও তাঁকে তৃণমূলের পক্ষের বিধায়ক বলেই মন্তব্য করেছিলেন। আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ‘বিজেপির লোক’ বলেছিলেন। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, ‘‘লোকটা বিজেপির, প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। সমর্থন করেছে সিপিএম।’’ এর পর বাইরনের শপথ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।

 

 

 

আরও পড়ুন – মধ্যপ্রদেশের সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতকে ‘হিন্দুরাষ্ট্র’ বলে দাবি কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের

 

অন্যদিকে অনুষ্ঠানের শেষে বিজেপির ৩ বিধায়ক হলুদ গোলাপের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নবনির্বাচিত বিধায়ককে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে, জাতীয় রাজনীতিতে ‘আদায় কাঁচকলায়’ সম্পর্কে থাকা কংগ্রেস-বিজেপির বিধানসভায় পারস্পরিক সৌজন্য বিনিময় নিয়ে! কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, ‘‘সাগরদিঘিতে বিজেপির লোক কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়ে বামফ্রন্টের সমর্থনে জিতেছে।’’

 

 

 

 

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েও যোগ দেননি, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় শাসকদলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ও উপমুখ্যসচেতক তাপস রায়। রাজ্য সরকারের পক্ষে প্রতিনিধি হিসাবে একমাত্র উপস্থিত ছিলেন পরিষদীয় দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু।

 

(সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন  Facebook পেজ এবং Youtube )