পঞ্চায়েতের প্রধানের থেকেই উদ্ধার হয়েছিল লক্ষাধিক টাকা, বিস্তারিত অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ। সেই মামলায় উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসককে বিস্তারিত অনুসন্ধানের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পঞ্চায়েত দফতরের সচিবের নজরদারিতে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। নির্দিষ্ট সময় পরপর পঞ্চায়েতের সচিবকে রিপোর্ট পাঠাবেন জেলাশাসক। এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী দু মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করতে হবে। অনুসন্ধানের পর চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ৩ টি প্রকল্পের তালিকা প্রকাশ করেন জেলাশাসক, যে সব প্রকল্পে তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগ।
হাইকোর্টের বক্তব্য, পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকেই যদি টাকা উদ্ধার হয়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মামলাকারীর বক্তব্য শোনার পর আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, আগের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন হয়নি। জেলাশাসক সার্বিকভাবে অনুসন্ধান করেননি।
বিচারপতির প্রশ্ন, শুধুমাত্র তিনটি প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য কেন সামনে আনা হল? জেলাশাসকের অধীনে তো আরও অনেক প্রকল্প রয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রে কি অনুসন্ধান হয়েছে? পরবর্তী শুনানিতে এই সব প্রশ্নের উত্তর চান বিচারপতি।
মনরেগা প্রকল্পের টাকা তছরুপ হচ্ছে, এই অভিযোগে ২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উত্তর দিনাজপুরের এক বাসিন্দা। গত বছরের ৩১ অক্টোবর বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসককে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন – তৃণমূলে বড় ভাঙন! দিলীপ ঘোষের হাত ধরে ঘাসফুল ছেড়ে বিজেপিতে প্রাক্তন প্রধান…
অনুসন্ধানের পর চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ৩ টি প্রকল্পের তালিকা প্রকাশ করেন জেলাশাসক, যে সব প্রকল্পে তছরুপ হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই অনুসন্ধানের পর জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছ থেকে প্রায় ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা উদ্ধারের নির্দেশ দেন জেলাশাসক। কিন্তু সেই অনুসন্ধানের পরও অসন্তোষ প্রকাশ করে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন মামলাকারী।