ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর , বিজেপি কর্মীদের তাণ্ডব চাকুলিয়ায়

ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর , বিজেপি কর্মীদের তাণ্ডব চাকুলিয়ায়। ভোট না দিতে দেওয়ার অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে তাণ্ডব চালাল বিজেপি কর্মীরা। রবিবার এই অভিযোগ উঠেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়া থানার রামপুর এলাকায়। বিজেপির দাবি, শনিবার ভোটের সময় দুষ্কৃতীদের নিয়ে বুথ জ্যাম করিয়ে ছাপ্পা দিয়েছে তৃণমূল। তার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে ওই এলাকায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘটনাস্থলে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। যদিও বিজেপির তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

 

 

 

 

 

 

 

 

রবিবার রামপুরে যান সুকান্ত। সেখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘এখানে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। আজ সকালে বোমাবাজি হয়েছে এবং গুলি চালিয়েছে। আমরা এলাকায় পিকেট বসানোর জন্য পুলিশকে জানিয়েছি।’’ পুলিশি নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ওখানকার স্থানীয় বিষয় নিয়েই এই গন্ডগোল। শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে এই ঘটনা ঘটিয়েছে দুষ্কৃতীরা।’’

 

 

 

আরও পড়ুন –  ভোট মিটলেও অশান্তি জারি মুর্শিদাবাদে

 

 

 

 

চাকুলিয়ার রামপুর এলাকার বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, শনিবার ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে শুরু হলেও আচমকা তৃণমূলের লোকজন অস্ত্রের মুখে বুথ দখল করে ছাপ্পা দিয়েছে। রাতভর ওই এলাকায় বোমাবাজি এবং ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলেও বিজেপির দাবি। এর পর রবিবার সকাল থেকে রামপুরে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। তাঁরা যানবাহন আটকে দেন। পাশাপাশি, একটি সরকারি বাস-সহ কয়েকটি অন্যান্য গাড়িও ভাঙচুর করেন। উল্টে দেওয়া হয় গাড়ি। পাশাপাশি, আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। জাতীয় সড়কে বাস-সহ অন্যান্য যানবাহন দাঁড়িয়ে পড়ে। তার ফলে দেখা দেয় যানজট। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। পারুল গোলদার নামে বাসের এক যাত্রী বলেন, ‘‘আমি মালদহ যাব। বাসে রওনা দিয়েছিলাম। আচমকা কিছু লোক হাতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে বাসটা থামায়। তার পর আমাদের নামিয়ে বাস ভাঙচুর করে।’’