বিক্ষুব্ধ বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী, বললেন ‘তৃণমূলের দলবল ভোট লুঠ করছে’, দলের বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন বিদ্রোহী বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বুথে-বুথে ভোট লুঠ করছে বলে সাফ জানালেন বিদ্রোহী এই বিধায়ক। তাঁর সাফ দাবি তিনি নির্দলের পাশে আগেও ছিলেন পরেও থাকবেন। কিন্তু তৃণমূল তিনি ছাড়বেন না। দলে থেকেই বিদ্রোহ চালিয়ে যাবেন। এক সাক্ষাৎকারে আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, “ইসলামপুরের বিধায়ক আমি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন এখানকার সংগঠন আমার হাতে থাকবে। এখন দেখছি ব্লক কমিটির লোকজন সংগঠন চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বরাবরই ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। বিভিন্ন সময়ে তাঁকে দলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল। ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগেও সুর চড়ান তিনি। বলেন যে, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েতের সময় একটা আওয়াজ উঠে গেল, যা হয়েছে সব সন্ত্রাসের মাধ্যমে হয়েছে। মানুষ যাকে ভোট দিতে চেয়েছিল দিতে পারেনি। অন্য পথে শাসকদল জিতেছে। তার প্রভাব পড়ল পরের ভোটে। ২০১৯ সালে লোকসভায় বিরোধীরা ২-৪টে আসন পেত। বাকিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই থাকতেন। অথচ বিজেপি ঢুকে পড়ল। কংগ্রেস পেল আসন।
আরও পড়ুন- ‘এত নোংরামি বাংলার নির্বাচনের ইতিহাসে হয়নি’, দাবি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন…
এক সাক্ষাৎকারে আবদুল করিম চৌধুরী বলেন, “ইসলামপুরের বিধায়ক আমি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন এখানকার সংগঠন আমার হাতে থাকবে। এখন দেখছি ব্লক কমিটির লোকজন সংগঠন চালাচ্ছে। জাকির হোসেন আর কানাইয়া আগরওয়ালের নেতৃত্বে একাধিক বুথে তৃণমূলের লোকজন ভোট লুঠ করে নিয়েছে। আসলে জাকির হোসেন তাঁর স্ত্রী নার্গিসকে প্রধান বানাতে চায়। ওরা বোমাবাজি করে সকলকে তাড়িয়ে দিয়েছে। কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। খুব খারাপ লাগছে দলের এই অবস্থা দেখে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন ওদের হাতে দল ছেড়ে দিল? পুলিশ নেই, প্রশাসন নেই। কিচ্ছু নেই বুথে।”
( সব খবর ,ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube)