সোমবার বিকেলে ফের ভূমিকম্পে কাঁপল রাজধানী। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দিল্লি ছাড়াও তার আশপাশ এলাকাতেও কম্পন অনুভব হয়। জানা গেছে, কম্পনের উত্সস্থল উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা। ন্যাশনাল সেন্টার অব সিসমোলজি জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৫.৬। বিকেল ৪টে ১৬ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। এই নিয়ে তিন দিনে দ্বিতীয় বার কাঁপল রাজধানী। এর আগে গত শুক্রবার মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। শুধু দিল্লি নয়, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এমনকী কলকাতাতে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। সেই কম্পনের ৭২ ঘণ্টাও কাটল না।
ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে দিল্লিতে। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন লোকজন। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভূমিকম্পের অনুভূতি শেয়ার করেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। ভূকম্প বিশেষজ্ঞেরা এই ধারাবাহিক কম্পন নিয়ে অনেক আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তাঁদের পূর্বাভাস, উত্তর-পশ্চিম হিমালয়ে অদূর ভবিষ্যতে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। পূর্বাভাসের পরে দফায় দফায় কেঁপেছে দিল্লি।
আরও পড়ুনঃ সোমবার থেকে শুরু উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং
গত শুক্রবার রাতে নেপালে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হয়েছিল। সীমান্ত পেরিয়ে কম্পনের রেশ টের পেয়েছিলেন দিল্লি, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, কলকাতার মানুষজন। এ দেশে সেই ভূমিকম্পের জেরে হতাহতের কোনও ঘটনা না ঘটলেও নেপালে ১৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বহু বাড়িঘর-দোকানপাট ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। রবিবারও মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে।
শনিবার রাতেও দিল্লিতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। কম্পনের উত্সস্থল সে বারও ছিল নেপাল। দিল্লি ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, বিহার-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। নেপালে সেই ভূমিকম্পের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মারা গিয়েছেন দেড়শোর বেশি মানুষ।
মূল কম্পনের পর ১৫৯ বার ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন বা আফ্টারশকে কেঁপেছিল নেপাল। বহু ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে, ধূলিসাত্ হয়েছে রাস্তাঘাট। শনিবারের পর নেপালে রবিবারও মৃদু কম্পন হয়। তার পর সোমবার আবার জোরালো কম্পন হল নেপালে। শনিবার রাতেও দিল্লিতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। কম্পনের উত্সস্থল সে বারও ছিল নেপাল। দিল্লি ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, বিহার-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। নেপালে সেই ভূমিকম্পের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মারা গিয়েছেন দেড়শোর বেশি মানুষ। মারা গিয়েছেন দেড়শোর বেশি মানুষ।