এবার থেকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যাপকদের সরাসরি বেতন দেবে রাজ্য, নবান্ন

পুজোর আগে ডেঙ্গি পরিস্থিতি সামাল দিতে আজ জরুরি ভিত্তিতে নবান্নে বৈঠক

এবার থেকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যাপক সহ বাকি কর্মীদের সরাসরি বেতন দেবে রাজ্য সরকার নিজেই, বুধবারের বৈঠকের পর সাফ জানিয়ে দিল নবান্ন। এতদিন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনুদান দিত রাজ্য। সেখান থেকেই অধ্যাপক থেকে শুরু করে বাকিন কর্মীদের বেতন দিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সরকারি কোষাগার থেকে সেই টাকা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক করল বিদেশ মন্ত্রক

বুধবারই রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল নবান্নের অর্থ দফতর (Nabanna provide salary to universities)। দুপুর ১২.৩০ থেকে শুরু হওয়া সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, ডায়মন্ড হারবার উইমেন্স ইউনিভার্সিটি, কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, মালদহ বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিধু কানহু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অফিসাররা। তখন থেকেই বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল।

 

এর আগে উপাচার্য নিয়োগ (VC recruitment) নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মধ্যেই শিক্ষক দিবসের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, নবান্নের সঙ্গে আলোচনা না করে রাজ্যপাল যদি তাঁর ইচ্ছামতো কাজ করেন, তাহলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আর্থিক অবরোধ শুরু করবেন তিনি। সেই হুমকিতে পাত্তা না দিয়ে সেদিন রাতেই উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তারপর জল গড়িয়েছে অনেক দূর। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে। তারপর বুধবারের বৈঠকে উপাচার্যদের না ডেকে ফিন্যান্স অফিসারদের ডাকায় মমতা সেই হুঁশিয়ারিকেই কাজে পরিণত করবেন কিনা, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়েছিল।

 

তার মধ্যেই এমন পরিকল্পনার কথা জানাল মমতা সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, সরকার এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে এককালীন অনুদান দিত। এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারী থেকে শুরু করে উপাচার্য পর্যন্ত বেতন যাবে সরকারি কোষাগার থেকে, যেমনটা অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। আগে সরকার থেকে এককালীন অনুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে যেত। রাজ্য সরকার আলাদাভাবে বেতন দিত না। সেটাই এবার পরিবর্তনের ভাবনা রাজ্য সরকারের। সরাসরি ট্রেজারি থেকে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বেতন। পাশাপাশি জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তনের ভাবনা রয়েছে নবান্নের।

পুরো বিষয়টায় রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করারই ইঙ্গিত দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এর আগে প্রতিদিন একটু একটু করে নবান্ন-রাজ্যপাল সংঘাত তীব্র হচ্ছিল। কিছুদিন আগেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ডাকা মিটিংয়ে যাননি রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। আবার রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে গিয়েছিলেন তাঁরা। তারপর যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সেই আগুনে জল ঢালে।

en.wikipedia.org