‘ক্ষতিপূরণের টাকা শেষ হলে ওঁরা কী করবেন?’, প্রশ্ন তুললেন সোনু, দেখুন, বালেশ্বরে ভয়ানক ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ২৯৫ জন। আহত আরও বেশি। চতুর্দিকে কান্নার আওয়াজ। ট্রেনের জানলা দিয়ে বেরিয়ে রয়েছে ছিন্ন ভিন্ন দেহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই মৃতের ও আহতের পরিবারের জন্য ঘোষণা করেছেন ক্ষতিপূরণ। কিন্তু তাতেই কি সবটা মিটে যায়? প্রশ্ন তুললেন ‘মসিহা’ সোনু সুদ। একই সঙ্গে এমন কিছু সত্যের সামনে দাঁড় করিয়ে দিলেন সকলকে যা তুলে দিল আরও কিছু প্রশ্ন। এক ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন সোনু। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমরা সবাই টুইট করছি। দুঃখপ্রকাশ করছি… কিন্তু কিছু দিন পরেই সবাই নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে যাব। কিন্তু যাদের সঙ্গে এতবড় ঘটনা ঘটল তাঁদের পরিবার কি আবারও উঠে দাঁড়াতে পারবে?”
শুক্রবার সন্ধে ৭টা নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, সর্বোচ্চগতিতে আসছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। হঠাৎ সংঘর্ষ হয় পাশের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির সঙ্গে। লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডলের ২১টি বগি। পাশের লাইনেও ছিটকে পড়ে তিনটি বগি। ওই লাইনেই আবার আসছিল ডাউন যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। সংঘর্ষ হয় ওই ট্রেনের সঙ্গেও। ছিটকে যায় যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের দুটি কামরা।গতকাল রাত থেকেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। রেল, পুলিশ ছাড়াও এনডিআরএফ, এসডিআরএফ বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। ভারতীয় বায়ুসেনাও উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে। এ দিন সকালেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রেলকর্তা থেকে শুরু করে সেনা আধিকারিক, সকলেই উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। সেখান থেকেই নিহত ও আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণাও করেন। ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয় প্রধানমন্ত্রীর তরফেও।
আরও পড়ুন – করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জেরে বাংলার মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের…
https://twitter.com/SonuSood/status/1664950028169891841?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1664950028169891841%7Ctwgr%5E2dd3340045cfc940d8b3fba859e0281bd63b2083%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Ftv9bangla.com%2Fentertainment%2Fculture%2Fsonu-sood-wants-fixed-monthly-income-for-victims-of-balasore-accident-829613.html
আরও সোনু যোগ করেন, “এই সব ক্ষতিপূরণ তো দুই থেকে চার মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু একবার ভাবুন তো যার কাঁধ ভেঙে গিয়েছে, সে কি আবার উঠে দাঁড়াতে পারবে? ওঁরাই ওঁদের সংসারের সমস্ত রুজি রুটির জোগাড় করতেন। সরকার ওঁদের জন্য ভালভাবেই কাজ করছেন কিন্তু আমার মনে হয় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কোনও এক নীতির আওতাবদ্ধ করা উচিৎ যেমন পেনশনের ক্ষেত্রে হয়। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা তাঁদের দেওয়া উচিৎ।” সোনু মনে করেন কোনও ক্ষতিপূরণই ওই সব মানুষগুলোর জন্য যথেষ্ট নয়। সোনুর অনুরোধ দোষারোপের নগ্ন খেলায় না মেতে কেন্দ্র ও রাজ্য এক হয়ে যেন এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন। ওই মানুষদের পাশে দাঁড়ান।