হেলমেট পড়তে চাইছে না মোটরবাইক চালকরা। তার চেয়ে জরিমানা দিতে রাজি তারা

হেলমেট পড়তে চাইছে না মোটরবাইক চালকরা। তার চেয়ে জরিমানা দিতে রাজি তারা। হেলমেট নিয়ে মোটরবাইক চালকদের মধ্যে অসচেতনতা দেখে হতাশ ট্রাফিক দফতর। বিগত দিনে এই নিয়ে একগুচ্ছ সচেতনবার্তা চালানো হলেও হেলদোল নেই মোটরসাইকেল আরোহীদের মধ্যে। দেশের কিছু কিছু জায়গায় এই পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে হেলমেট না পড়ার বদলে জরিমানা ভরতে রাজি চালকরা।

 

 

 

 

 

হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন, দেশের অন্যতম বড় শহর পুনের 50 শতাংশ চালক তাদের মাথা রক্ষা করার চেয়ে জরিমানা দিতে রাজি। সম্প্রতি পুনে টাইমস মিররের প্রতিবেদনে এমনই অবাক করা তথ্য পেশ করা হয়। 24 মে অর্থাৎ গত বুধবার পুনে শহরে পালিত হয় সিম্বলিক হেলমেট ডে।

 

 

 

 

হেলমেট পড়া নিয়ে পুলিশ আধিকারিক এবং বাসিন্দাদের মধ্যে 3 দিন ব্যাপী সচেতন বার্তা প্রচার করা হয়। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হল শুধুমাত্র এই দিনে ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করার কারণে প্রায় 1600 বাইকারদের জরিমানা করেছে পুলিশ। এই পরিস্থিতি দেখে বেশ উদ্বিগ্ন প্রশাসন।

 

 

 

হেলমেট নিয়ে উদাসীনতা প্রায় সব বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যেই দেখা গিয়েছে বিগত দিনে। এই অনিয়ম রুখতে ইতিমধ্যে একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। মোটর ভেহিকেল আইন অনুযায়ী, হেলমেট পড়া না থাকলে মোটরবাইক আরোহীদের থেকে 1,000 টাকা জরিমানা আরোপ করা হবে।

 

 

 

কোনও চালক যদি ঠিকমতো হেলমেট না পড়েন বা শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার জন্য বাইক-স্কুটারে হেলমেট ঝুলিয়ে যান তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ।হেলমেট পড়া না থাকলে যেমন হাজার টাকা জরিমানা তেমনই হেলমেট যদি ভুল ভাবে পড়া হয়ে থাকে তাহলেও 1,000 টাকা জরিমানা করা হবে।

 

 

আরও পড়ুন –

 

কেন হেলমেট পড়েননি এই প্রশ্ন করা হলে চালকদের পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্ন উত্তর শোনা যায়। কেউ বলেন,আমি ঠিকমত শুনতে পাই না তাই হেলমেট পরি না।আমি জরিমানা দিতে প্রস্তুত। আবার একজন মহিলা খুব সহজেই স্বীকার করে নেন,যে তিনি তার হেলমেট বাড়িতে ভুলে গেছেন।একজন বয়স্ক মানুষকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তর দেন,আমার বাড়ি থেকে অফিস খুব কাছে এবং 15 কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে তিনি চালান, এমনকি তিনি জরিমানা দিতেও প্রস্তুত।এমনকি এই প্রবণতা বহু সরকারি কর্মকর্তার মধ্যেও দেখা গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।