অভিষেকের নজর পঞ্চায়েত ভোটে! উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার থেকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শুরু অভিষেকের

অভিষেকের নজর পঞ্চায়েত ভোটে! উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার থেকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শুরু অভিষেকের, সব ঠিকঠাক থাকলে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার থেকে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শুরু করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু আর হাত গুটিয়ে বসে থাকতে রাজি নয় শাসকদল তৃণমূল। তাই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নিজের ভোটপ্রচার শুরু করে দিতে চান। তাঁর সম্মতি নিয়েই প্রচার নির্ঘণ্ট তৈরি হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, এপ্রিল মাসেই পাঁচটি কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। ৮ এপ্রিল অভিষেক প্রথম জনসভা করবেন আলিপুরদুয়ারে। ওই সভা হবে আলিপুরদুয়ারের বাবুরহাট খেলার মাঠে। প্রথমে জনসভা হওয়ার কথা ছিল ১১ মার্চ। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় এই সভার দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। গত বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলাতে একটি আসনেও জিততে পারেনি শাসক দল তৃণমূল। যদিও আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল ইতিমধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গের এই জেলার ফলাফলকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলার শাসকদল। তাই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নিজের পঞ্চায়েত ভোটের কর্মসূচি শুরু করছেন এই জেলা থেকেই।

 

 

 

 

 

১৭ এপ্রিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জনসভা করবেন পূর্ব বর্ধমানে। যদিও গত পঞ্চায়েত, লোকসভা কিংবা বিধানসভা নির্বাচনের কোনওটিতেই এই জেলায় দাঁত ফোটাতে পারেনি গেরুয়া শিবির। তা সত্ত্বেও পূর্ব বর্ধমানকে নিজের জনসভার কর্মসূচিতে রেখেছেন অভিষেক। পূর্ব বর্ধমান জেলাসফর শেষ করে ২০ এপ্রিল উত্তর দিনাজপুর যাবেন তিনি। এই জেলার একমাত্র লোকসভা আসন রায়গঞ্জটিতে সাংসদ রয়েছেন বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরী। পঞ্চায়েত তো বটেই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে এই আসনটিকেও পাখির চোখ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এই জেলার ৯টি বিধানসভা আসনের মধ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনে ৭টিতেই জয় পেয়েছিল তৃণমূল। রায়গঞ্জ এবং কালিয়াগঞ্জ আসনটি জিতেছিল বিজেপি। যদিও পরে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সম্প্রতি উত্তর দিনাজপুরে বেশ কিছু অন্তর্দলীয় কোন্দল দেখা দিয়েছে তৃণমূলে। মাঝেমধ্যেই বেসুরো শোনা যাচ্ছে বর্ষীয়ান বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীকে। চলতি সপ্তাহেই চোপড়ায় গুলিতে দুজন তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়েছে। সেই কারণেই এই জেলাকে নিজের জনসভার স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ সদস্য অভিষেক, এমনটাই মত উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতাদের।

 

 

 

 

আর অভিষেকের শেষ জনসভাটি হতে পারে ২৯ এপ্রিল হুগলি জেলার আরামবাগে। হুগলি জেলার আরামবাগে বিজেপির সংগঠন বেশ ভাল বলেই দাবি করে রাজ্য গেরুয়া শিবিরের নেতারা। গত বিধানসভা নির্বাচনে আরামবাগ লোকসভার অধীন আরামবাগ, পুরশুড়া, গোঘাট এবং খানাকুলের মতো আসনে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছিল বিজেপি। তাই পঞ্চায়েত ভোটে এই সব এলাকা নিজেদের দখলে আনতে চায় তৃণমূল। সেই লক্ষ্যেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের শেষ গন্তব্য হতে পারে আরামবাগ।

 

 

আরও পড়ুন –   এক প্রভাবশালীর কাছে ২৬ কোটি টাকা পাঠিয়েছিল, অবশেষে স্বীকার অয়নের!

 

উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের পর অভিষেকের পরবর্তী গন্তব্য দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলমহল। ১২ এপ্রিল তাঁর দ্বিতীয় কর্মসূচি স্থির হয়েছে বাঁকুড়া জেলায়। গত লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া জেলার দু’টি লোকসভা আসন বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুরে জয় পেয়েছিল বিজেপি। বিধানসভা ভোটে সাংগঠনিক মেরামতি করে কিছুটা দাগ কাটতে পারলেও, মাত্র ৪টি আসনে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। বাকি ৮টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। পরে বিজেপির এক বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেন। বাঁকুড়াকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে অভিষেকের দ্বিতীয় গন্তব্য হবে জঙ্গলমঙ্গলের এই জেলা।