ভারতের কাছে অষ্টম বারে হারের পর স্টেডিয়ামের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলল পাকিস্তান

৮-০, একদিনের বিশ্বকাপে মোট আট বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। আট বারই ভারতের কাছে মাথা নথ করতে হয়েছে পাকিস্তানকে। ওডিআই বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম জয়ের স্বপ্নটা অধরাই থেকে গেল পাকিস্তানের। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে যেভাবে বাবর আজম-শাহিন আফ্রিদিদের কার্যত দুরমুশ করেছে টিম ইন্ডিয়া। আর এবার এই হারের পর অজুহাত খুঁজচ্ছে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত আহমেদাবাদের স্টেডিয়ামের পরিবেশ নিয়েই প্রশ্ন তুলল পাকিস্তান।

আরও পড়ুনঃ চড়া দামে বিদেশে কয়লা আমদানির অভিযোগ উঠল আদানির বিরুদ্ধে

শনিবার আহমেদাবাদে ১ লক্ষ ৩২ হাজার আসন বিশিষ্ট নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। পাকিস্তান ফ্যান হাতে গোনা কয়েক জন ছাড়া সেভাবে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। পুরো স্টেডিয়ামই যেন ‘মেন ইন ব্লু’ রঙে সেজেছিল। হাতে তাদের ভারতীয় পতাকা। থেকে থেকে উঠেছে ভারতের নামে জয়ধ্বনি, শোনা গিয়েছে বন্দে মাতরম গানও। এমন পরিবেশ যা মন ছুঁয়ে গিয়েছে সকল ভারতীয়দের। কিন্তু সেই পরিবেশকে এবার একপ্রকার আক্রমণ করে বসলেন পাকিস্তান টিডি ও কোচ।

 

পাকিস্তান দলের টিডি মিকি আর্থার বলেন,”দেখে বোঝার উপায় ছিল না এটা কোনও আইসিসি ইভেন্ট বা বিশ্বকাপ চলছে। মনে হচ্ছিল কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ চলছে, আর তার আয়োজক বিসিসিআই। পাকিস্তানের নামে মাঠে কোনও আওয়াজই শোনা যায়নি সঞ্চালকও একবারও বলেছেন বলে আমার মনে পড়ছে না। দর্শক সমর্থনকে কোনও অজুহাত হিসেবে খাড়া না করছি না। কিন্তু দর্শক সমর্থনের প্রভাব রয়েছে।”

 

পাকিস্তান দলের কোচ গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্নের গলাতেও শোনা যায় একই সুর। তিনি বলেন,”আমাদের সমর্থকেরাও আসতে চেয়েছিল। কিন্তু ভিসা সমস্যা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু মাঠের পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছিল না কোণও বিশ্বকাপের ম্যাচ হচ্ছে। আমাদের সমর্থনে কোনও গান বা কিছু ছিল না। বিষয়টি খুব অস্বাভাবিক লেগেছে আমার। পাকিস্তান ফ্যানেরা সঠিক বিচার পেল না”।

 

প্রসঙ্গত, ম্যাচে টসে দিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। প্রথমে ব্যাট করে ৪২.৫ ওভারে ১৯১ রান করে আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ভারতের ৫ বোলার ২টি করে উইকেট পায়। জবাবে ৩০.৩ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় টিম ইন্ডিয়া। ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত শর্মা। এছাড়া ৫৩ রান করেন শ্রেয়স আইয়ার।