মেসি প্রথম ক্রীড়াবিদ যিনি আমেরিকান না হয়েও এই পুরস্কার জিতলেন।

বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসাবে তাঁর নাম একেবারে শীর্ষ সারিতে থাকে। ব্যক্তিগত বিভাগে হোক বা দলগত বিভাগে, এমন কোনও পুরস্কার নেই যা লিওনেল মেসি (Lionel Messi) জেতেননি। তাঁর মুকুটে এবার নতুন পালক যুক্ত হল। টাইমস ম্যাগাজিনের বিচারে ২০২৩ সালের সেরা ক্রীড়াবিদ নির্বাচিত হলেন মেসি। এই পুরস্কার জিতে মেসি লেব্রন জেমস, অ্যারন জাজ়দের তালিকায় নিজের নাম লেখালেন। মেসিই প্রথম ক্রীড়াবিদ যিনি আমেরিকান না হয়েও এই পুরস্কার জিতলেন।

১৯২৭ সালের পর থেকে প্রায় ১০০ বছর ধরে টাইমস এই পুরস্কার দিয়ে থাকে। অবশ্য সেরা অ্যাথলিটের পুরস্কার দেওয়াটা মাত্র বছর চারেক আগেই শুরু হয়েছে। লিওনেল মেসি এই মরশুমেই আমেরিকান ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে (Inter Miami) যোগ দিয়েছেন। তাঁর দলে যোগ দেওয়ার ইতিমধ্যেই ইন্টার মায়ামির ঘরে ট্রফিও ঢুকেছে। আমেরিকান ক্লাবের হয়ে তাঁর এই পারফরম্যান্সের জন্যই তাঁকে সেরা ক্রীড়াবিদের সম্মান দেওয়া হল। এই পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে মেসির পাশাপাশি নোভাক জকোভিচ, আরলিং হালান্ড, কিলিয়ান এমবাপেরাও ছিলেন। তবে তাঁদের হারিয়ে সেরার শিরোপা জিতলেন মেসিই।

মেসির বয়স ৩৬ পেরিয়ে গেলেও, তাঁর খেলায় এখনও কোনও প্রভাব পড়েনি। তবে তিনি পরের বিশ্বকাপ আদৌ খেলবেন কি না, সেই নিয়ে যথেষ্ট জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। মেসি নিজেই এবার সেইসব জল্পনা-কল্পনার জবাব দিলেন।

মেসি বলেন তাঁর বর্তমানে যা বয়স, তাতে পরের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ না করাটাই স্বাভাবিক। ‘আমি বিশ্বকাপ নিয়ে এখন ভাবছি না। তবে এটাও নিশ্চিত করে বলছি না যে আমি বিশ্বকাপ খেলব না। আমরা যা বয়স, তাতে বিশ্বকাপে না খেলাটাই স্বাভাবিক। তবে দেখা যাক কী হয়।’ বলেন আটবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী ফুটবলার।

মেসির আপাতত লক্ষ্য পরের বছর কোপা আমেরিকা (Copa America 2024) খেলা এবং সেখানে কেমন কী হয়, তাঁর উপর নির্ভর করেই নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি। মেসি বলেন, ‘হয়তো আমরা কোপা আমেরিকায় ভাল ফলাফল করব এবং সবকিছু আমাদের পক্ষেই যাবে। বা হয়তো বিপরীতটা হবে। সত্যি বলতে গোটা বিষয়টা খুবই কঠিন। যতদিন পর্যন্ত আমার ফিটনেস বজায় থাকছে এবং আমি দলের হয়ে অবদান রাখতে পারছি, আমি এটা করে যাব। বর্তমানে আমি শুধু কোপা আমেরিকা খেলার কথাই ভাবছি। তারপর কী হয় না হয়, সেটা সময় বলবে।’