আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন ধরমপুরে সিআরপি ক্যাম্পে হামলা চালানোর পরিকল্পনায় অভিযুক্ত প্রাক্তন মাওবাদী নেতা

লালগড়ের ধরমপুরে সিআরপি ক্যাম্পে হামলা চালানোর পরিকল্পনায় অভিযুক্ত প্রাক্তন এক মাওবাদী নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। লালগড় থানার হদহদি গ্রামের বাসিন্দা নিরঞ্জন মাহাতো ওরফে হৃষিকেশ শুক্রবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে আইনজীবী সায়ক ভদ্রের মাধ্যমে সশরীরে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তিনি সুকান্ত, শশধর, বিকাশ, আকাশের মতো মাওবাদী নেতার সঙ্গে কাজ করতেন। উল্লেখ্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ ধারার ওই মামলায় দীর্ঘ ১২ বছরেও পুলিশ আদালতে চার্জশিট দিতে পারেনি।

 

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১০ সালের ২২ মে লালগড় থানার তৎকালীন আইসি অশোক বসু স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছিলেন। অভিযোগে আইসি জানিয়েছিলেন, ২০১০ সালের ২১ মে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ সোর্স মারফত খবর আসে, লালগড় থানার দক্ষিণে পাঁচ কিমি দূরে হদহদি গ্রামে মাওবাদীরা বৈঠক করছে। মাওবাদীরা ধরমপুরে সিআরপি ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে খুন করে অস্ত্র লুটের পরিকল্পনাও করেছে। সেই মতো আইসি লালগড়ের তৎকালীন ডেপুটি পুলিশ সুপার ওয়াংথেন ভুটিয়া ও সিআরপি-র ৫০ নম্বর ব্যাটালিয়নের বি কোম্পানির জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চালান।

 

রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ জানতে পারে, ১৫-১৬ জন সশস্ত্র মাওবাদী মহুলবনি ও বনিশোল জঙ্গলে বৈঠক করছে। অভিযান চালিয়ে জয়দীপ মাহাতো, বীরচাঁদ সরেন, সতীশ মাহাতোকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। বাকিরা পালায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাওবাদী পোস্টার, বোমা, দেশি একনলা বন্দুক, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের উস্কানিমূলক লিফলেট বাজেয়াপ্ত করে। ওই মামলায় ২০১০ সালের ২৬ মে নিখিল মাহাতো নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন – পঞ্চায়েত ভোটে রক্তের বদলে ঝরবে রক্ত, হুঁশিয়ারি দেবদাস মন্ডলের

মামলার অভিযোগপত্রে লেখা রয়েছে, মাওবাদী নেতা সুকান্ত, বিকাশ, আকাশ, শশধর উপস্থিত থেকে আমলিয়া গ্রামে বৈঠক করে ধরমপুর সিআরপি ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে খুন করে বন্দুক লুটের কথা ঘোষণা করেছিল। সেই মতো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা, সে জন্য অস্ত্র জড়ো করা, অস্ত্র আইন-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মমালা রুজু করেছিল পুলিশ। ওই মামলায় মাওবাদী নেতা সুকান্ত, শশধর, বিকাশ, আকাশও অভিযুক্ত ছিল। লালগড়ের