“সখি তুমি কার?” ধূপগুড়ি স্টেশনে স্বামী-স্ত্রী-প্রেমিকের ত্রিমুখী দ্বন্দ্বে তীব্র উত্তেজনা, হস্তক্ষেপ পুলিশের

“সখি তুমি কার?” ধূপগুড়ি স্টেশনে স্বামী-স্ত্রী-প্রেমিকের ত্রিমুখী দ্বন্দ্বে তীব্র উত্তেজনা, হস্তক্ষেপ পুলিশের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



জলপাইগুড়ি – বাস্তব জীবন যেন সিনেমার চিত্রনাট্য! দুই স্ত্রী, এক স্বামী এবং এক গোপন প্রেমিক—এই চরম জটিল সম্পর্কের নাটকীয় সংঘাতে রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠল ধূপগুড়ি রেলস্টেশন। প্রকাশ্য দিবালোকে পরকীয়া এবং প্রতারণার এমন চেহারা দেখে হতবাক সাধারণ মানুষ। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ।

ঘটনার সূত্রপাত বানারহাট ব্লকের হলদিবাড়ির বাসিন্দা মানু আলম ও তার জটিল পারিবারিক জীবনে। প্রেম করে একসময় প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করেন মানু। পরে দ্বিতীয় বিয়েও করেন, কিন্তু দুই স্ত্রীকে আলাদা রেখে সামলাতে গিয়ে আরও বাড়ে সমস্যা। অভিযোগ, দ্বিতীয় স্ত্রীকে নাকি মানু যথেষ্ট গুরুত্ব দেন না। সেই অভাব থেকেই ধীরে ধীরে তৈরি হয় সম্পর্কের ফাটল, আর সেই ফাঁক গলে দ্বিতীয় স্ত্রী জড়িয়ে পড়েন তেলিপাড়ার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমে।

বুধবার সেই প্রেমিকের হাত ধরে ভিনরাজ্যে পালানোর পরিকল্পনা ছিল দ্বিতীয় স্ত্রীর। ঠিক সেই সময় ধূপগুড়ি স্টেশনে পৌঁছে যান স্বামী মানু আলম। সেখানেই হাতেনাতে ধরা পড়ে স্ত্রী ও তার প্রেমিক। এরপর মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। চলে বচসা, হাতাহাতি এবং শেষে প্রেমিকের উপর চলে বেধড়ক মারধর। চারপাশে জমে যায় জনতার ভিড়। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

শেষ পর্যন্ত জিআরপি হস্তক্ষেপ করে তিনজনকেই নিয়ে যায় থানায়। এখন আইনি প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয়দের মুখে একটাই প্রশ্ন—“সখি তুমি কার?”

এই ঘটনাটি শুধু একটি ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভাঙন নয়, বরং এক গভীর সামাজিক বার্তা দেয়। সম্পর্ক মানেই দায়িত্ব, সম্মান ও বিশ্বাস—তার অভাবই ডেকে আনে এমন দুঃখজনক পরিস্থিতি।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top