পৌষ মেলা হবে না কি বন্ধ থাকবে এই দোটানায় বিশ্বভারতী আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। চলতি সপ্তাহ অপেক্ষা করার পর আন্দোলনে নামতে চলেছে এলাকার ব্যাবসয়ীরা। ইতিমধ্যে বোলপুর লোকসভার সাংসদ অসিত মাল বিশ্বভারতীর বর্তমান বিদ্যুৎ অবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। সংসদ অসিত মাল জানিয়েছেন , বিশ্বভারতীর যাবতীয় ঐতিহ্য লাটে তুলে দিচ্ছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
রাজ্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অবিলম্বে পৌষমেলা শুরু করা। গতবছর অতিমারি করোনা সংক্রমনের জেরে পৌষ মেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি সর্বস্তরের মানুষ মেনে নিয়েছিলো। কিন্তু সেই একই অজুহাতে পৌষ মেলা বন্ধ রেখেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ , এই অজুহাত কেউ মেনে নিতে চাইছেন না। বিভিন্ন ভাবে পৌষ মেলার চালিয়ে যাওয়ার দাবিতে আওয়াজ উঠছে , কিন্তু সেই আওয়াজ কানে তুলো গোঁজা বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কাছে পৌঁছাচ্ছে না।
বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ জানিয়েছেন , হাতে একদম সময় নেই , এখনো উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী পৌষ মেলা নিয়ে কোনোরকম সবুজ সংকেত দেননি। চক্রান্ত করে পৌষ মেলা বন্ধ করে দিতে চাইছেন চিরতরে। কয়েক হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ী পৌষ মেলার দিকে মুখ তাকিয়ে বসে থাকে সারা বছর। পৌষমেলার বিকিকিনি ওই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের সারাবছরের অন্নের সংস্থান করে। শুধুমাত্র নিজের অহংকার কে মান্যতা দিতে গিয়ে হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আশ্রমিক সুবোধ মিত্র বলেন , পাপ ভরে গেছে বিশ্বভারতী জুড়ে।
আর ও পড়ুন বিপিন রাওয়াতের দেহ শায়িত মর্গে, আজ শেষ শ্রদ্ধা
জানিনা কবে মুক্তি মিলবে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর করাল গ্রাস থেকে। ভাবলেই বুকের ভেতরে হাহাকার উঠছে ,তথা পৃথিবীর সাধের পৌষ মেলা বসেছে।পৌষ মেলার ঐতিহ্যের সাথে জুড়ে আছে বাউল শিল্পীদের সুর সংগীত। কুয়াশা ঘন সকালে বাবুরা একতারা হাতে গান গাইতে গাইতে পর্যটকদের আনন্দ দান থেকে এবার বঞ্চিত হবো , এমনটাই দাবি তরুণ দাস বাউলের। ব্যাবসায়ী আমিনুল হোদা বলেন , একজন মানুষ এত প্রতিহিংসা পরায়ন, নেতিবাচক মানশিকতার হতে পারে , বর্তমান উপাচার্য কেনা দেখলে আমরা বিশ্বাসই করতে পারতাম না।
কিসের অহংকার , কিসের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন সেটাই আমরা বুঝে উঠতে পারলাম না। আমদের মতো প্রান্তিক ব্যাবসায়ীরা বছর ভর অপেক্ষায় থাকি পৌষমেলার জন্য। মেলা শুধু আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্য নয় , পৌষমেলার সাথে জড়িয়ে আছে গুরুদেবের কালজয়ী ইতিহাস , সেই ইতিহাস কে মুছে ফেলতে চাইছে উপাচার্য। তবে আমরাও চুপ থাকবো না। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে আগামী কয়েক হাজার বছর মানুষের হৃদয়ে গেঁথে দিতে যতটা লড়াই করার ততটাই লড়াই হবে।