পাবলিক ঘেরাও করলে পালাবার জায়গা পাবেন না, দিলীপ ঘোষ

পাবলিক ঘেরাও করলে পালাবার জায়গা পাবেন না, দিলীপ ঘোষ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

পাবলিক ঘেরাও করলে পালাবার জায়গা পাবেন না, দিলীপ ঘোষ। মিছিল মেদিনীপুর শহরের রিংরোড পরিক্রমা করিয়ে শহরের মাঝে কালেক্টরেট মোড়ে একটি ছোট পথসভা করেন দিলীপ ঘোষ৷ একটি ম্যাটাডোরে দাঁড়িয়ে বক্তব্যে তিনি বলেন- “পাবলিক ঘেরাও করলে পালাবার জায়গা পাবেন না, পাতাল রেল দিয়ে দিদিমণিকে দৌড়াতে হবে।

 

কোথায় যাবেন ঠিক করুন, উড়িষ্যা ঝাড়খন্ড আসাম কোথাও যেতে দেবে না। চোরেদের কেউ জায়গা দেবে না। অনেক বুদ্ধিজীবী এখনো চামচাগিরি করছেন। শেষতম সংযোজন জহর সরকার। মোদীজি কে ভালো গালাগালি করতেন বলে, দিদি থাকে রাজ্যসভার সাংসদ করে দিলেন। এই বুদ্ধির দৌড়, শেষ জীবনে এঁদো পুকুরের ডুব মারলেন? বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের এই পরিণতি। নালায় ডুব মেরে গায়ের গন্ধ নিয়ে ঘুরে বেড়াবেন।

 

এই পাপ থেকে বেরিয়ে আসুন।একটা দমকা হাওয়া আসবে, যার দ্বারা তৃণমূল এ রাজ্য থেকে উড়ে বাংলাদেশে পৌঁছে যাবে। যত দিন যাচ্ছে সিবিআই ও ইডির হাত লম্বা হচ্ছে। যেখানে টাকা রাখা আছে সেখানেই হাত পৌঁছাচ্ছে। এক একটা নেতা ধরা পড়তে এক একটা পাঁজর ভেঙে যাচ্ছে দিদির।এক প্রিয় ভাই যার এতো কম অক্সিজেনে নিয়েও জেলাকে লুঠ করেছে, অক্সিজেন পুরো থাকলে পুরো রাজ্যকে অন্ধকার করে দিত। দিদিমণির কষ্ট সবে শুরু।

 

লালু প্রসাদ রেলমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন, গাড়ি পাটনার জেলে পৌঁছেছিল। দিদিমণিও দুটোই। দিদিমনির জন্যও দমদমের জেলও অপেক্ষা করছে। তার আগে তার ভাইদের পাঠানো হবে সেখানে। ওজন দেখে দেখে মাল তোলা হচ্ছে, যেমন ওজন তেমন টাকার বান্ডিল। ” পরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন-“যারা বড় বড় কথা বলছিল, সিবিআ,ইডি হোম মিনিস্টার, প্রধানমন্ত্রীকে ধমকাচ্ছিল, তাদের বাড়িতে কোটি কোটি টাকার বান্ডিল আছে, যা পাওয়া যাচ্ছে। তারপরেও চোখ দেখাচ্ছে। চুরিও করবেন চোখও দেখাবেন সেটা চলবে না।

 

মানুষ এই দিনটার অপেক্ষা করছিল। রাজ্যে যে টাকা লুকানো ছিল সেটা কি সিআইডি জানত না? এটা কি দৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা? সিআইডি কি দুধ খেয়ে ঘুমাচ্ছিল? যেখানে আসল টাকা আছে সেখানে যাচ্ছে না, মাছওয়ালার বাড়িতে যাচ্ছে। কয়লা পাথর চোর গরু চোরের বাড়িতে কেন যাচ্ছে না? এটা রাজিব কুমারের মত পরিস্থিতিটাকে ঘেঁটে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তৃণমূল বুঝতে পেরেছে হাতটা গলার দিকে যাচ্ছে। তাই সিআইডিকে নামিয়ে, এটাকে অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা চলছে।”

 

দিলীপ ঘোষের আরো সংযোজন” সারা ভারতবর্ষের ও বিশ্বের জঙ্গিরা এই রাজ্যে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগেও ধরা পড়েছে আল কায়দা জেএমবি জঙ্গি। কারণ ওরা জানে এখানে ঢুকে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরলে কেউ কিছু বলবেনা। সব থেকে বেশি দুষ্কৃতি তাণ্ডব হয়েছে ডায়মন্ড হারবার মডেল এ। ডায়মন্ড হারবার মডেল দেশকে শেষ করবে। এখানে সমস্ত দুষ্কৃতিদের আড্ডা।

 

এখানে সর্বাগ্রে তদন্ত প্রয়োজন, এখানে প্রতিটি নেতা অসামাজিক, জাতীয়তাবাদ বিরোধী।এই রাজ্য সরকারকে আগেও আদালত পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল পরিবেশ দূষণ কাণ্ডে। এই বিভাগে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া সমস্ত টাকা লুট করছে রাজ্য। সবদিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে। প্রতিবারই আদালতে কান মলা খায়। এখন ৩ হাজার কোটি টাকা দিতে গেলে তৃণমূলতো দেউলিয়া হয়ে যাবে।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top