কলকাতায় হঠাৎ কেঁপে উঠছে সবার ফোন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের এলার্ট নাকি হ্যাক হল ফোন?

কলকাতায় হঠাৎ কেঁপে উঠছে সবার ফোন,প্রাকৃতিক দুর্যোগের এলার্ট নাকি হ্যাক হল ফোন?হঠাত করে ফোনে বেজে উঠছে এলার্ট,জ্বলে উঠছে ফোনের ফ্ল্যাশ।হলটা কী?পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলে প্রায় অধিকাংশ মানুষের ফোনেই গত কয়েকদিন ধরে এমন ঘটনা ঘটছে।কেউ কেউ মনে করছেন তাদের ফোন হ্যাক হয়েছে! কিন্তু আদতে তেমনটা নয়।কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সতর্কবার্তাও নয় এই এমার্জেন্সি এলার্ট।বাংলা নয় গোটা ভারতজুড়ে একাধিক টেলিকম নেটওয়ার্কের অধীনে এই এলার্ট পাচ্ছেন ইউজাররা।আচমকাই ফোনে ফ্ল্যাশ জ্বলে উঠছে, ভাইব্রেট হতে থাকছে স্মার্টফোন।আসলে এটি কোনও বিপদের আশঙ্কা নয়,সরকারের পক্ষ থেকে এক বিশেষ এলার্ট সিস্টেম তৈরি করা হচ্ছে।পরীক্ষামূলক ভাবে এই এলার্ট পাঠানো হচ্ছে নাগরিকদের ফোনে।

 

 

 

 

ঘাবড়াবার দরকার নেই কেন?

টেলিকমিউনিকেশন দফতরের পক্ষ থেকে স্পষ্টত জানানো হয়েছে,পরীক্ষামূলক ভাবে নাগরিকদের ফোনের স্ক্রিনে পাঠানো হয়েছে।কোনও বিপদের সংকেত নয়।তাই তাদের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ নিতে হবে।এই এলার্ট যদি আপনিও পেয়ে থাকেন তাহলে ভয় পাওয়ার দরকার নেই।কারণ এটি ভারত সরকারের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের তরফ থেকে পাঠানো এমার্জেন্সি এলার্টের ট্রায়াল করা হচ্ছে।20 জুলাই থেকে দেশজুড়ে একাধিক সার্কেলে এই পরীক্ষা শুরু করা হয়।বর্তমানে ভারতের একাধিক সার্কেলে এই পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে কেন্দ্র সরকার। টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের সিইও জানিয়েছেন,এই ধরনের এলার্টের জন্য আগে বিদেশী প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হত।বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই এবার থেকে এমন সিস্টেম তৈরি করা হচ্ছে।

 

 

 

আরও পড়ুন –  রাখী বলে ডাকতেই প্রতিবাদ করলেন,রাখী নাম ত্যাগ করলেন শেষে…আদিলের স্ত্রী হয়েই থাকতে…

 

 

 

 

কেন বাজছে এমার্জেন্সি এলার্ট?

জুলাই মাস থেকে ধাপে ধাপে একাধিক সার্কেলে এই পরীক্ষা শুরু করেছে কেন্দ্রের টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ (DoT)।এদিন পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সার্কেলে এই এলার্ট পেয়েছেন ইউজাররা। টেলি কমিউকেশন বিভাগের অধীন ব্রডকাস্টিং সিস্টেমের পক্ষ থেকে জিও,বিএসএনএল সহ একাধিক টেলিকম ব্যবহারকারীদের ফোনে পাঠানো হচ্ছে।উক্ত এলার্ট আসার পর যতক্ষণ না ‘OK’ বাটনে ক্লিক করছেন ততক্ষণ অবধি বেজে যাচ্ছে। আসলে এই এলার্ট সিস্টেম প্যান-ইন্ডিয়া স্তরে পরীক্ষা করছে সরকার।কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিপর্যয় আসন্ন হলে তার সতর্কবার্তা দ্রুত এবং কার্যকর উপায়ে যাতে নাগরিকদের কাছে পৌঁছোয় কিনা তা পরীক্ষা করে দেখেছে টেলিকমিউনিকেশন বিভাগ।এই পরীক্ষার প্রাথমিক উদ্দেশ্যে নাগরিকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা এবং জরুরি সময়ে সতর্ক করা তাদের।পাশাপাশি এর মাধ্যমে সেল সম্প্রচার বিভাগের দক্ষতা এবং কার্যকারীতা মূল্যায়ন করতে চায় সরকার।