এবার জি২০-র মঞ্চেও ‘ইন্ডিয়া’ বদলে হয়ে গেল ‘ভারত’! কোভিডে হারানো বিশ্বাস ফেরানোর আহ্বান মোদীর।

লোকসভা ভোট প্রচারে এবার জি-২০ সফলতাকেই অস্ত্র করতে চাইছে বিজেপি, ইতিমধ্যেই বাংলাতেও পৌঁছিয়েছে নির্দেশ
জি২০-র মঞ্চেও ‘ইন্ডিয়া’ বদলে হয়ে গেল ‘ভারত’! কোভিডে হারানো বিশ্বাস ফেরানোর আহ্বান মোদীর।তিমারি পরবর্তী বিশ্বে ঘুণ ধরেছে বিশ্বাসে। শনিবার নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, ”ইউক্রেন যুদ্ধ সেই আস্থাহীনতারই পরিণতি। আমাদের এই আবহ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

তাত্‍পর্যপূর্ণ ভাবে শনিবার জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী ম়ঞ্চের পোডিয়ামে দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ইংরেজিতে ‘ভারত’ লেখা ছিল। ঘটনাচক্রে, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে আগত বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পাঠানো নৈশভোজের যে আমন্ত্রণপত্র ঘিরে বিতর্কের সূচনা, শনিবার রাতেই তার আয়োজন।

ওই আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’। কিন্তু ভারতের রাষ্ট্রপতি কাউকে কোনও চিঠি লিখলে তাতে চিরাচরিত ভাবে লেখা থাকে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ কথাটি। এই পরিচয়লিপি বদল ঘিরে বিতর্কের আবহেই গত মঙ্গলবার মোদীর ইন্দোনেশিয়া সফরের সূচি এক্স (সাবেক টুইটার)-এর হ্যান্ডলে প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে মোদীর পদ লেখা হয়, ‘প্রাইম মিনিস্টার অফ ভারত’।

জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের মঞ্চেই ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধানের মতোই আফ্রিকান ইউনিয়নের সভাপতিকে স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়ার জন্য সওয়াল করেন মোদী। তিনি বলেন, ”একুশ শতক বিশ্বকে নতুন দিশানির্দেশ দেওয়ার শতক। নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদের পুরনো সমস্যাগুলির সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। যখন আমরা কোভিডকে পরাজিত করতে পেরেছি তখন আমরা এই আস্থার ঘাটতির সঙ্কটের বিরুদ্ধেও জয়ী হতে পারব।”

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের উপস্থিতিতে মোদীর এই মন্তব্য ‘তাত্‍পর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ, আমেরিকা এবং পশ্চিমী দুনিয়ার ধারাবাহিক চাপ সত্ত্বেও রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাব সমর্থন করেনি ভারত। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগও ছিন্ন করেনি। সেই নীতিতে অটল থাকার বার্তা দিয়েই মোদী বলেন, ”সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্রেই আস্থাহীনতার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে আমাদের।”

en.wikipedia.org