কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন বাড়ানো হবে। সেই উদ্দেশ্যে আজ ছিল বিধানসভায় এক দিনের বিশেষ অধিবেশন। কিন্তু মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির জন্য পুজোর মধ্যে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকেও তা পাশ করাতে পারল না সরকার। বাদল অধিবেশনে রাজ্যের বিধায়ক, পূর্ণমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বিধানসভার স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বিল পাশের জন্য এদিন তড়িঘড়ি সংশোধনী আনা হলেও তা পাশ করতে পারল না সরকার। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এখনও সেই বিলে সই করেননি।
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের ৭০ হাজার টাকা অনুদান না পেয়ে ক্ষোভ পুজো কমিটির
নিয়ম অনুয়ায়ী অন্য কোনও ধরনের বিলের ক্ষেত্রে প্রয়োজন না হলেও ফিন্যান্স বিল পেশের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। সরকারের তরফে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাবিত বিল রাজভবনে পাঠানো হয়। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতও করে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু সোমবার এই বিল সই করে এখনও বিধানসভায় পাঠাননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
নির্ধারিত সময় রাজভবন থেকে রাজ্যপালের সই করা বিলের প্রতিলিপি বিধানসভায় এসে না পৌঁছনোয় বৈঠকে বসে বিএ কমিটি। বৈঠক শেষে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির এই সংশোধনী বিল বিধানসভায় পেশ করা হলেও সেই নিয়ে কোনও আলোচনা বা ভোটাভুটি হবে না। ফের একবার মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিধানসভার সচিবালয় থেকে জানানো হয়, একদিনের এই অধিবেশনে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করতে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল স্যালারিজ় অ্যান্ড অ্যালায়েন্স অ্যাক্ট ১৯৫২’ এবং বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি (মেম্বার অ্যামিউজ়মেন্টস) অ্যাক্ট ১৯৩৭’ সংশোধন করা হবে। প্রথমে বিশেষ অধিবেশনে উপস্থিত থাকবে না বলে জানালেও মত বদল করে বিজেপি। এদিন বিধানসভায় বিল পেশের পর ওয়ারকাউট করে বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভার করিডোরে বিলের প্রতিলিপি ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা।
নির্ধারিত সময় রাজভবন থেকে রাজ্যপালের সই করা বিলের প্রতিলিপি বিধানসভায় এসে না পৌঁছনোয় বৈঠকে বসে বিএ কমিটি। বৈঠক শেষে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির এই সংশোধনী বিল বিধানসভায় পেশ করা হলেও সেই নিয়ে কোনও আলোচনা বা ভোটাভুটি হবে না। ফের একবার মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।