বিহার – পারিবারিক সম্পর্কে অস্থিরতা ও সামাজিক বঞ্চনার চরম পরিণতি দেখা গেল বিহারের মুজফ্ফরপুর জেলার ছাজন গ্রামে। ২৬ বছর বয়সি অবিনাশ নামে এক যুবক নিজেই হত্যা করল তার মায়ের প্রেমিক জিতু (৪৫)-কে। শুধু হত্যা নয়, হত্যার পর দেহ গর্ত করে মাটিতে পুঁতেও রাখে সে। পুলিশ জানিয়েছে, মায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলা অবৈধ সম্পর্ক মেনে নিতে না পারাই এই মর্মান্তিক ঘটনার মূল কারণ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ মে রাত ১২টা নাগাদ জিতু জোর করে অবিনাশের বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাধা দেয় সে। এরপর শুরু হয় দু’জনের মধ্যে তুমুল বচসা, যা পরে গড়ায় শারীরিক সংঘর্ষে। অভিযোগ, বাড়ির পাশের মাঠে গিয়ে অবিনাশ একটি বাঁশের ডাণ্ডা দিয়ে জিতুকে আঘাত করে। গুরুতর আঘাতে জিতু ললাট থেকে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।এরপর আতঙ্কে দেহ গোপন করতে মাঠেই একটি গর্ত খুঁড়ে দেহ চাপা দেয় অবিনাশ এবং পালিয়ে যায়।
নিখোঁজ হওয়ার একাধিক দিন পর, ২২ মে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ মাঠ থেকে জিতুর দেহ উদ্ধার করে। নিহতের স্ত্রী আগেই থানায় নিখোঁজের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। জানা গেছে, জিতুর একটি পাঁচ বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে এবং তাঁর স্ত্রী বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।জিতুর মা দাবি করেছেন, স্থানীয় এক ব্যক্তি রামদেব ফোনে জিতুকে হুমকি দিচ্ছিলেন। তবে তদন্তে উঠে এসেছে, জিতুর অবৈধ সম্পর্কই এই হত্যার মূল কারণ। অবিনাশ নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে এবং প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
