অর্পিতা প্রসঙ্গে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে পরিবার

অর্পিতা প্রসঙ্গে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে পরিবার। ডোমজুড়ে মাসির বাড়িতে মাঝেমধ্যেই আনাগোনা ছিল অর্পিতার।মাসতুতো ভাইকেও চাকরি করে দিয়েছিল বলে এলাকাবাসীর দাবি।

শিরোনামে এসএসসি দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারি ইস্যু। একইসঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ট অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ইডির হানায় কোটি কোটি টাকা উদ্ধার। ডোমজুড়ের লক্ষনপুরের সেই বাড়ি যেন আজ নিস্তব্ধ। অর্পিতা প্রসঙ্গে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে পরিবার। অর্পিতার মাসি স্মৃতি মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেই থাকেন তাঁর দাদু। তাই মাঝেমধ্যেই দাদুকে দেখতে আসতেন অর্পিতা।

 

যদিও মাসীর বাড়ির লোকজন তাকে সিরিয়াল, সিনেমার অভিনেত্রী এবং প্রতিষ্ঠিত মডেল হিসাবেই জানতেন বলে দাবি। ফলে কোটি কোটি টাকা কীভাবে তাঁর কাছে এল তা নিয়ে কার্যত তারা অন্ধকারে বলেই দাবি। স্মৃতিদেবী বলেন, মাসখানেক আগেও বোনকে নিয়ে এসেছিল দাদুকে দেখতে। অন্য কোনও বিষয়ে আমাদের কথা হত না। বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মা বেলঘরিয়ায় থাকেন। আর ও নিজের ফ্ল্যাটে থাকত। এরপর কীভাবে তার কাছে টাকা এল বা তাকে ফাঁসানো হয়েছে কি না তা নিয়ে কিছু বলতে পারব না। আমাদের এখানে কোনোদিন প্রভাবশালী কাউকে নিয়ে আসেনি।

আরও পড়ুন – বর্ধমানে বিজেপি যুব মোর্চা ও সিপিআইএম এর পক্ষ থেকে পথ অবরোধ ও বিক্ষোভসভা

এদিকে, এলাকাবাসীর দাবি অর্পিতার মাসতুতো ভাই মুকুল চাকরি পেয়েছিল অর্পিতার সুপারিশে। মন্ত্রীকে ধরেই চাকরি করে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী, সেই মাসতুতো ভাই এলাকায় বন্ধুবান্ধবদেরও চাকরি করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেড়াতো বলে এলাকাবাসীদের দাবি।
প্রসঙ্গত, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হলেও মাসির বাড়ি ছিমছাম। আর পাঁচটা সাধারন মধ্যবিত্ত বাড়ির মতোই। একতলা সেই বাড়িতেই থাকেন দাদু দুর্গাপদ চক্রবর্তী। সাদাসিধা তাঁর মাসি ও মেসো নিজেও। দাদু কঠিন অসুখে ভুগছে। ফলে সেই জন্যই দাদুকে প্রায়শই দেখতে আসত অর্পিতা।