ডুয়ার্স উৎসবে সক্রিয় তৃণমূল

ডুয়ার্স উৎসবে সক্রিয় তৃণমূল। দুর্গাপূজা বাদ দিলে পরে আলিপুরদুয়ারের মানুষ তাকিয়ে থাকেন ডুয়ার্স উৎসবের দিকে।বলা হয় উত্তরবঙ্গের সবচে বৈচিত্র্যময় আয়োজন।কোভিভ পরিস্থিতিতে মাঝে ২ বছর উৎসব আয়োজন করা যায়নি।তবে নতুন বছরের শুরুতেই স্বমহিমায় ফিরতে চলেছে ডুয়ার্স উৎসব।এবার আর ১০ দিন নয়।১১ দিনের উৎসব।জানুয়ারি মাসের ১২ থেকে ২২ জানুয়ারি অবদি চলবে।প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শেষ ১৬ টি ডুয়ার্স উৎসব ঠিক যে আঙ্গিকে, যে ধারায় চলেছিল, এবার ১৭ তম উৎসবেও তার সামান্য ব্যতিক্রম হচ্ছেনা।উলটে অভিনব কিছু চমক থাকছে।

 

রীতিমতো চ্যালেঞ্জ নিয়ে মঙ্গলবার থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন এসজেডিএ চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী।এবারো তিনিই আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক।সক্রিয় সহযোগিতা থাকছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের।পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ,আলিপুরদুয়ার পুরসভাও থাকছে সক্রিয় ভূমিকায়।উল্লেখ্য, কোভিডের ছায়া পুরোপুরি মুছে যায়নি।স্বাভাবিক ভাবেই গত ৩ মাস ধরেই চর্চা ছিল উৎসব হবে কি হবেনা।মঙ্গলবার সব প্রশ্নের উত্তর উঠে এসেছে জেলা প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যার ৬২০ নম্বর কনফারেন্স রুম থেকে।

 

জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা, সৌরভ চক্রবর্তী ছাড়াও জেলা পরিষদের সভাধীপতি শিলাদাস সরকার, আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর,তৃণমূল জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবরাইক,মৃদুল গোস্বামী সহ জেলা সদরের বিভিন্ন মহল থেকে কমবেশি ১৫০ জনের বেশি উপস্থিত ছিলেন। সব মহল থেকেই দাবি তীব্র হয় উৎসব আয়োজনের।

 

এত অল্প সময়ের মধ্যে উৎসবকে সফল করা সম্ভব কিনা তা নিয়েও আলোচনা চলে।তবে প্রশাসন,আয়োজক কমিটি এদিনই পরিস্কার বার্তা দিয়েছে,সফল ভাবে আয়োজনের।মঙ্গলবার প্রথমে একদফা প্যারেড গ্রাউন্ড পরিদর্শন করেন সৌরভ চক্রবর্তী। এরপর জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা মাঠ পরিদর্শন করেন।

 

আলিপুরদুয়ার জেলা বইমেলা শেষ হবার পরপরই শুরু হচ্ছে ডুয়ার্স উৎসব।সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নির্দেশ মেনে আমরা ডুয়ার্স উৎসবকে সফল রূপ দেব।আগের ১৬ টি উৎসবে যা যা ছিল সবকিছুই থাকছে।উল্লেক্ষ্য,ডুয়ার্সকে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে ২০০৫ সালে উৎসবের সূচনা হয়।সৌরভ চক্রবর্তী দায়িত্ব নেবার পর আর বড়, আকর্ষনীও হয়ে উঠে ডুয়ার্স।

 

জানা গেছে, আগামীকাল বুধবার জেলা সদরে রেড ক্রশ ভবনে অস্থায়ী ভাবে অফিসের সূচনা হচ্ছে।১৭ ডিসেম্বর পরবর্তী বৈঠক রয়েছে।পর্যটন মহলের একাংশ এবার উৎসব প্রাঙ্গণেই জেলার প্রথম পর্যটন মেলা আয়োজনের প্রস্তাব রেখেছিল।বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানা গিয়েছে।এবারও প্রতিবেশী দেশ ভুটান,বাংলাদেশ থেকে আসবেন অতিথিরা।ডুয়ার্সের লোকসংস্কৃতি, পর্যটনকে তুলে ধরতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।