নুসরত জাহানের ‘পরিবর্তনের’ পুজো

নুসরত

নুসরতের ‘পরিবর্তনের’ পুজো। মা হয়েছেন টলি কুইন নুসরত জাহান। গোটা টলিপাড়া উত্তাল হয়েছিল এই খবরে।আগুনের মতো নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল নুসরতের গর্ভবস্থার খবর। অনেকেই পাবলিসিটি বলেও মন্তব্য করেছিলেন। নুসরত জাহান। গত দু’বছর তাঁর জীবনে ছিল অত্যন্ত ঘটনাবহুল। ব্যক্তিগত হোক কিংবা কর্মজীবন, সর্ব ক্ষেত্রেই আলোচনায় ছিলেন তিনি। সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আর এই বছরটা নায়িকার জীবনে একটু বেশিই স্পেশাল। গত ২৬ অগাস্ট নুসরতের কোল আলো করে এসেছে ফুটফুটে পুত্র সন্তান ঈশান।

 

সম্প্রতি তাঁর ফ্যানপেজে একটি ভিডিয়ো ঘুরছে, যেখানে তিনি শেয়ার করেছেন তাঁর পুজো প্ল্যান। নুসরত বলেন, “এই বছর আমার ছেলের প্রথম পুজো। তাই আনন্দ উদযাপন সব বাড়িতেই হবে।” নুসরত ও তাঁর সঙ্গী যশের সন্তান ঈশান। এ খবর আর কারও অজানা না।

 

যশ -ঈশানকে নিয়েই ২০২১ সালের পুজোতে বিশেষ সময় কাটাবেন তারকা – সাংসদ। তবে যদি একটু পিছন ফিরে তাকানো যায়, অর্থাৎ গত দু’বছরের পুজোও কিন্তু বিশেষভাবেই কেটেছিল নুসরত জাহানের। তবে স্থান, কাল, পাত্র, পরিস্থিতির সঙ্গে পাল্টেছে তাঁর জীবনের কাছের মানুষগুলো। ২০১৯ সালের ১৯ জুন বয়ফ্রেন্ড, ব্যবসায়ী নিখিল জৈন  সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন নুসরত জাহান। তুরস্কে বসেছিল তাঁদের বিয়ের রাজকীয় অনুষ্ঠান।

 

এরপর কলকাতায় এসেও হয় গ্র্যান্ড রিসেপশন পার্টি। সেই বছরের পুজোতে নববধূ নুসরতের কেটেছিল একেবারে রঙিন। চুটিয়ে উপভোগ করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে। অষ্টমীতে ঢাক বাজানো থেকে শুরু করে পুষ্পাঞ্জলি, সবটাই করেছিলেন জুটিতে। বিজয়া দশমীর দিনও ম্যাচিং ট্রাডিশনাল পোষাকে মণ্ডবে দেখা যায় নিখিল -নুসরতকে।

 

লেন্সবন্দী হয় প্রাক্তনের সঙ্গে তাঁর সিঁদুর পরানো ও খেলার একাধিক মুহূর্ত। এদিন নুসরত জাহান পরেছিলেন সাদা -লাল পাড় শাড়ি, সঙ্গে ছিল মানানসই গয়না। উল্টোদিকে নিখিলের পরনে ছিল সাদা রঙা পঞ্জাবী। ২০১৯ সালের দুর্গা পুজোর কার্নিভ্যালেরও হেঁটেছিলেন ‘নিখিল- নুসরত’। এদিন একেবারে ধুতি -পঞ্জাবীতে সেজেছিলেন নিখিল জৈন। শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে দুর্গা রূপে নেচেছিলেন নায়িকা।

 

কাট টু ২০২০ সালের পুজো। অর্থাৎ এখন থেকে ঠিক এক বছর আগের ঘটনা। দুর্গা পুজোয় একসঙ্গে ক্যামেরাবন্দী হয় নিখিল -নুসরতের একসঙ্গে আনন্দে গা ভাসানোর একাধিক মুহূর্ত। এমনকী গত দুর্গাপুজোয় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নো এন্ট্রি জোনে অঞ্জলি দেওয়ায় আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছিল নুসরত জাহান এবং পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে।

 

২০২০ সালের পুজোর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘SOS কলকাতা’-এ একসঙ্গে কাজ করেছিলেন যশ-নুসরত ও মিমি। সেখান থেকেই যশ ও নুসরতের বন্ধুত্ব অনেকটাই গভীর হয়েছে বলে শোনা যায়। এরপর থেকেই নুসরতের সাথে যশের সম্পর্ক নিয়ে টলিপাড়ায় শুরু হয় জোর গুঞ্জন।

 

আর ও   পড়ুন    সব্যসাচী প্রসঙ্গে কি বললেন দিলীপ ঘোষ

 

উল্লেখ্য,  জানা যায় বহুদিন ধরেই একে অপরকে ডেট করছে যশরত, নুসরত এবং নিখিলের সংসার ভাঙ্গার পেছনে এই সম্পর্ককেই অনেকে কারণ হিসাবে দেখছেন। একসাথে হলিডে ট্রিপ থেকে শুরু করে কফি ও ডিনার ডেটেও একসাথে দেখা গিয়েছে নুসরত এবং যশকে। ভোটের পর থেকে আরও বেশি করে একে অপরের সাথে সময় কাটাতে শুরু করেছিলেন তারা।

 

কোনদিনও সরাসরি সম্পর্ক নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও কিছুদিন আগে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি পোস্ট করে এক প্রকার যশ এর সাথে ডেট করার বিষয়টিকে মেনে নেন অভিনেত্রী নুসরত। আর তারপরেই হঠাৎ অভিনেত্রীর মা হওয়ার এই গুঞ্জন শোনা যাওয়াতে তোলপাড় হয়ে ওঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়া। এরপরেই বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছিলেন নিখিল। যদিও কোনও নোটিস তিনি পাননি বলে দাবি করেছিলেন নুসরত।

 

সূত্রের খবর, একপ্রকার বাধ্য হয়েই নুসরতকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছিলেন নিখিল। এমনকী, তাঁর ক্রেডিট কার্ডও ঞ্ছিল নুসরতের কাছেই। সেটাই নিয়মিত ব্যবহার করতেন নুসরত। অন্যদিকে নুসরত বলেছিলেন , ‘এমন কোনও নোটিস তিনি পাইনি।‘ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের তথ্যও ভুয়ো বলে দাবি করেছিলেন নুসরত।