বর্ধমানের উন্নয়ন নিয়ে নাগরিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হলো

বর্ধমানের উন্নয়ন নিয়ে নাগরিক কনভেনশন করলো বর্ধমান পৌরসভা। এই কনভেনশনে নাগরিকদের মতামতের উপর গুরুত্ব দিয়ে বর্ধমান শহরের কি কি উন্নয়ন মূলক কাজ হবে তার উপর দৃষ্টিপাত হয়। বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে এই কনভেনশনে বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বলেন, “আমরা পৌরসভায় আসার পর প্রথম যে কাজটাতে হাত দিয়েছি তা হলো হেরিটেজ ও ঐতিহ্যের টাউন হলকে সংস্কারের করার।

 

এই হলটি ১৬ মে থেকে বুকিং বন্ধ করে দেওয়া হবে। ৫-৬ মাসের মধ্যে সংস্কারের কাজ শেষ হতে লাগবে। কারণ এই হলটি সংস্কার হলে শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে। তাছাড়া বর্ষা শুরুর আগে শহরের সমস্ত ড্রেনের সংস্কারের কাজ হবে। শহরে একসাথে ৩ হাজার বাংলার বাড়ির তৈরির কাজেও হাত দেওয়া হয়েছে। আর বাড়ির প্লান এখন থেকে অনলাইনের মাধ্যমে হবে।

 

পাশাপাশি আমরা এখন থেকে সপ্তাহে একদিন করে পৌরসভায় প্রত্যেক ওর্যাডের নাগরিকদের সাথে নাগরিক পরিষেবা নিয়ে সমস্যা গুলি শুনে দ্রুত তার সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবো। এজন্য একটা ফোন নম্বরও চালু করা হয়েছে।“ তবে এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাগরিকদের কাছে বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান আবেদন করে বলেন, রাস্তা দখল করে কেউ ব্যবসা কিংবা বাড়ি তৈরি করবেন না। ড্রেনে বজ্য ফেলা বন্ধ করুন। কারণ ড্রেনে বজ্য ফেলার ফলে ড্রেন গুলি দ্রুত বুজে গিয়ে শহরে জল জমছে। পাশাপাশি বেআইনী বাড়ি তৈরি হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই বাড়ি তৈরির সময় নিয়ম অনুযায়ী জায়গা ছেড়ে বাড়ি তৈরি করতে হবে। এতে নিকাশি ব্যবস্থা ভাল থাকবে।

 

আমরা একটা নিয়মের গন্ডির মধ্যে সবাইকে নিয়ে আসতে চাইছি। সাথেসাথে আমরা ভুল করলে অবশ্যই নাগরিকদের আমাদের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার অধিকার আছে। এদিনের কনভেনশনে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান কাকলি তা, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা ও পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান কাকলি তা জানান, “বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা ও বর্ধমান পৌরসভা যৌথ ভাবে বর্ধমানের উন্নয়নের কাজ করে চলেছে। এবার থেকে বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার তরফে থেকে অভিযোগ সেল খোলা হচ্ছে এবং বর্ধমান উন্নয়নের নাগরিকদের কাছ থেকে সাজিশেন নেওয়ার জন্য সাজিশেন বক্স চালু করা হচ্ছে। আমরা নাগরিকদের মতামত নিয়েই বর্ধমানের উন্নয়ন করতে চাই। তাই এধরণের ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।

 

তাছাড়া আমরা শহরকে যানজট মুক্ত ও সৌন্দর্যায়নের উপর জোর দিয়েছি।“ বর্ধমানের দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, “বর্ধমান শহরের যানজট মুক্ত করতে বর্ধমান পৌরসভা, বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা এবং সাধারণ প্রশাসন বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। টোটোর জন্য যে যানজট তৈরি হচ্ছে সেদিকেও পৌরসভা নজর দিয়েছে। পাশাপাশি আমরা হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে নই। তবে কাউকে রাস্তা দখল করে কিংবা বড়ো ড্রেন দখল করে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না। শহরকে আবর্জনা মুক্ত ও যানজট মুক্ত শহর করতে আমরা বদ্ধপরিকর।“