৮২৫ কোম্পানি বাহিনী এনেছিলেন মীরা পাণ্ডে, এবার মাত্র ২২, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। শীর্ষ আদালতের কথা তো মানতেই হবে। সেই নির্দেশের পর কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা যেন ধরি মাছ, না ছুঁই পানি! রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অন্তত তেমনটাই মনে করছেন। কারণ, রাজ্য নির্বাচন কমিশন মাত্র ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। হিসেব করলে দাঁড়ায়, জেলা পিছু মাত্র ১ কোম্পানি বাহিনী। এতগুলো বুথে মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে কি শান্তিপূর্ণ ভোট করা সম্ভব? প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ৬১,৬৩৬। এক কোম্পানি বাহিনীতে যদি গড়ে ১০০ জন করে সদস্য থাকেন, তাহলেও সদস্য সংখ্যা হয় ২২০০ জন। অর্থাৎ সব বুথে বাহিনী পৌঁছনো প্রায় অসম্ভব। তাই বিরোধীরা যে শান্তিপূর্ণ ভোট চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তা অধরা থেকে যাবে বলেই মনে করছেন বিরোধীদের একাংশ। বিজেপি শমীক ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘স্বেচ্ছাচারিতা, স্বৈরতন্ত্র ও দখলদারির আরও একটি নির্লজ্জ দৃষ্টান্ত স্থাপন করল কমিশন ও তৃণমূল সরকার।’ তবে তিনি মনে করেন, মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলছে।
আরও পড়ুন – বিপদে পড়লে বাস বা অ্যাপ ক্যাবের ‘প্যানিক বাটনে’ চাপ দিলেই পুলিশের কাছে…
১০ বছর আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিকে ফিরে তাকানো যাক। একেবারে উল্টো ছবি দেখা গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল খোদ কমিশন। মীরা পাণ্ডে ছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। সেই বছর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়ার পর ৮২৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করেছিল কমিশন। পাঁচ দফায় ভোট হয়েছিল ২০১৩ সালে। অর্থাৎ এক এক দফায় গড়ে প্রায় ১৬৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। এবার ভোট হচ্ছে এক দফায়। আর সেই এক দফায় যত সংখ্যক বাহিনী চাওয়া হয়েছে, তার ২০১৩-র তুলনায় সাত ভাগের এক ভাগ।
( সব খবর, ঠিক খবর ,প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )