কলকাতা থেকে দক্ষিণেশ্বর, গঙ্গার পাড়ে গাছ লাগাবে পুরসভা। কলকাতা থেকে দক্ষিণেশ্বর গঙ্গার পাড়ের গাছ লাগানোর সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ল। বুধবার কলকাতা পুরসভার এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা শহরকে আরও বেশি সবুজ ও দূষণমুক্ত করতে চান তিনি। তাই কলকাতা পুরসভা ছাড়াও বন্দর, সেনা ও পুর নগরোন্নয়ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মেয়র।কলকাতা থেকে দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গাপাড়ে এলাকার বহু জমি সেনা ও বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে। তাঁদের অধীনে থাকা খালি জায়গায় গাছ বসাতে গেলে তাঁদের অনুমতি প্রয়োজন।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, তিন বছরে এক কোটি গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন মেয়র। তাই কলকাতা থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে গাছ লাগিয়েই তাঁর উদ্যোগ শেষ হবে না। ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের দু’ধারে গাছ লাগানোর পরিকল্পনাও নিয়েছে কলকাতা পুরসভায়। এই রাস্তার ১৬-১৭ কিলোমিটার জুড়ে এই গাছ লাগানোর কাজ করা হবে। পাশাপাশি কলকাতা শহরে থাকা খালি জায়গা যাতে বেশি সংখ্যায় গাছ লাগানো যায়, সেই বিষয়েও উদ্যোগী হবে পুরসভা। এ ক্ষেত্রে বেশি সংখ্যায় দেবদারু গাছ লাগানো হবে। ঝড়বৃষ্টির সময় যাতে শহরের রাস্তায় পড়ে গিয়ে পথচারীদের ক্ষতি না হয়, সেই কারণেই দেবদারু গাছ লাগানোর পক্ষপাতী কলকাতা পুরসভা।
আরও পড়ুন – ভোটের কাজে নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টে মামলা শিক্ষকদেরই একাংশের
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা থেকে দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গাপাড়ে এলাকার বহু জমি সেনা ও বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে। তাঁদের অধীনে থাকা খালি জায়গায় গাছ বসাতে গেলে তাদের অনুমতি প্রয়োজন। সেই কারণে বন্দর ও সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের অনুমতি চেয়েছেন ফিরহাদ। সূত্রের খবর, গাছ লাগানোর কাজে কলকাতা পুরসভাকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে বন্দর ও সেনা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা ওই সব এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। তার পরেই গাছ লাগানোর কাজ শুরু করবে পুরসভা। এ ক্ষেত্রে ক্যাওড়া গাছ কলকাতা থেকে দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে লাগানো হবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর। এই গাছ যেমন সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধি করবে, তেমনই আবার গঙ্গাপাড়ের মাটি শক্ত করবে।