সুশান্ত ঘোষের নিজের বুথেই প্রার্থী দিতে পারল না বাম ,সিপিএম-এর একসময় অন্যতম দাপুটে নেতা ছিলেন সুশান্ত ঘোষ। আজও রাজনীতির ময়দানে সক্রিয়। তবে, তাঁর সেই দাপট দেখা মেলে না। একুশের নির্বাচনে গড়বেতার জমিতে ভোট করাতে গিয়ে নিগৃহীত হতে হয়েছিল জেল ফেরত সুশান্ত ঘোষকে। এবার দেখা গেল নিজের বুথেই প্রার্থী দিতে পারল না সিপিএম। তা নিয়ে শাসকদলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সুশান্তবাবুর অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে কোণঠাসা করতে চাইছে বিরোধীদের।
বস্তুত, ২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর কঙ্কালকাণ্ডে নাম জড়ায় সুশান্ত ঘোষের। জেলেও যেতে হয় তাঁকে। বর্তমানে জামিনে রয়েছেন তিনি। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ময়দানে কড়া ভাষায় তৃণমূলের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। রাজ্যের শাসকদলকে হারানোর শপথ নিয়ে বিভিন্ন সময় মিটিং মিছিল করেছেন এই বাম নেতা। এবার তাঁরই বুথে সিপিএম প্রার্থী দিতে না পারায় রীতিমতো অস্বস্তিতে বাম শিবির।
যদিও, সুশান্তবাবু জানিয়েছেন আসনটি সংরক্ষিত। শংসাপত্রের জটিলতায় প্রার্থী দেওয়ার পরও তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, “যাকে আমরা প্রার্থী করলাম তার আবার সার্টিফিকেটের সমস্যা। ফলে মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেল।’ তবে সুশান্ত যুক্তি জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতিতে সিপিএম লড়াই দিচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর কটাক্ষও, “যাঁরা বলছেন লোক নেই তাঁরা আসলে বিরোধী শূন্য করতে চাইছেন। মিথ্যা মামলা, ভয় দেখিয়ে বিরোধীদের কোণঠাসা করতে চাইছেন।”
যদিও, তার পাশের বুথেই আবার প্রার্থী হয়েছেন সুশান্তবাবুর পরিবারের সদস্য। সংশ্লিষ্ট এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের প্রার্থী রয়েছে সিপিএম-এর। প্রার্থী দিতে না পারা প্রসঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী পবন শাহ বলেন যে, সুশান্ত ঘোষ যে হার্মাদদের তৈরি করেছিলেন এখন আর তাঁর সঙ্গে কেউ থাকতে চাইছে না। তাঁরা সকলেই শান্তি চাইছেন। সেই কারণে ওই এলাকায় প্রার্থী দিতে পারেনি সিপিএম।
আরও পড়ুন – নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘বাংলাদেশি’ শিক্ষক! শিক্ষককে আদালতে হাজির করার নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের উড়াসায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮৬ নম্বর বুথ। এই বুথেই প্রার্থী দিতে পারেনি সিপিএম। তবে শুধু বাম শিবির নয়,বিজেপিরও প্রার্থী নেই ওই বুথে। যার কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন ওই বুথের তৃণমূল প্রার্থী ময়না রায়।