আক্ষেপের সুর সৌগত গলায় বললেন ‘আমরা নিজেদেরই কর্মীদের বাঁচাতে পারিনি…’,

আক্ষেপের সুর সৌগত গলায় বললেন ‘আমরা নিজেদেরই কর্মীদের বাঁচাতে পারিনি…’,

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

আক্ষেপের সুর সৌগত গলায় বললেন ‘আমরা নিজেদেরই কর্মীদের বাঁচাতে পারিনি…’, ভোটের হিংসার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। মন্তব্য করলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌগত রায়। শনিবার ছিল পঞ্চায়েত ভোট। আর সকাল থেকেই একের পর এক হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে আসছিল। অসমর্থিত সূত্রে খবর, শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হতেই রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ।

 

 

 

 

 

উল্লেখ্য, গতকাল গ্রাম দখলের লড়াইয়ে তুমুল আশন্তি তৈরি হয়েছিল। জেলায়-জেলায় অবাধে ছাপ্পা, ভোট রিগিং, বোমাবাজি-গুলি চলার মতো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। শুধু তাই নয়, প্রাণ হারান অনেকে। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয় মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই তৃণমূল কর্মী নয়ত সমর্থক। এর পাশাপাশি গুলিবিদ্ধ হন অনেকে। যদিও, ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলেই মত তৃণমূল নেতৃত্বের। মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায়, “৬১ হাজারেরও বেশি বুথ রয়েছে। তার মধ্যে ৮-৯টি বড় ঘটনা। আর বড়জোর ৬০টি ছোটখাটো ঘটনা ঘটেছে। কোথাও পাঁচ মিনিটের গন্ডগোল, কোথাও আধ ঘণ্টার গন্ডগোল, পাড়ার গন্ডগোল হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ মারা যাচ্ছেন তৃণমূলের।” পাশাপাশি বিরোধীরা এই বিষয়ে রাজনীতি করছেন বলেও দাবি করেন কুণাল।

 

 

 

আরও পড়ুন –  ভোট মিটলেও অশান্তি জারি মুর্শিদাবাদে

 

 

 

সাংসদের কথায়, রাজ্যে যে কজন মারা গিয়েছেন তাঁর মধ্যে আটজনই তৃণমূল কর্মী। আর এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সৌগতর আক্ষেপ, “মৃত্যুর এই ঘটনা আটকানো যেত। নিজেদেরই কর্মীদেরই আমরা বাঁচাতে পারিনি।” এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপর একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে তৃণমূলের বর্ষীয়ান বলেন, “এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনও ভূমিকাই ছিল না। উল্টে তারা এসে পুলিশের ভূমিকাকে নগন্য করে দিয়েছে।” একই সঙ্গে তৃণমূলের প্রশংসা করে সৌগত রায় বলেন, “আমাদের কর্মীরা খুবই সংযত ছিল। আমরা হিংসা এড়াবার যথেষ্ঠ চেষ্টা করেছি। কিন্তু এত প্রাণ চলে যাওয়ার পরও তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা যে ধৈর্য্য দেখিয়েছেন তা প্রশংসনীয়।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top