পার্থের হয়ে মামলা লড়তে আসছেন শামসুদ্দিন শামস , এককালে যার কথা শুনে চলত ইডি , জুলাই ২০২২ থেকে জুলাই ২০২৩— এক বছরের বন্দিদশা পেরিয়ে কি অবশেষে জামিন পাবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? সম্প্রতি পার্থের মামলায় তাঁর আইনজীবী বদলেছে। দিল্লি থেকে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর হয়ে মামলা লড়তে এসেছেন অভিজ্ঞ আইনজীবী। বৃহস্পতিবারই প্রথম তিনি আদালতে সওয়াল করতে চলেছেন পার্থের হয়ে। ইডির মামলায় নগর দায়রা আদালতে পার্থের হয়ে জামিনের আবেদন করবেন তিনি। এই আইনজীবীর পুরনো রেকর্ড ঘেঁটে পার্থের ঘনিষ্ঠ মহল মনে করছেন, পার্থের জামিন করানো এঁর পক্ষে অসম্ভব কিছু নয়। যদিও, শেষ পর্যন্ত সবটাই নির্ভর করছে আদালতের উপর।
আর্থিক দুর্নীতি প্রতিরোধে দেশের যে আইন,সেই ‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’ বা আর্থিক তছরুপ আইনের খসরা তৈরির অন্যতম মাথা ছিলেন শামসুদ্দিন।১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালে ওই আইনের বিলের খসড়া থেকে শুরু করে ২০০০ সালে এই বিলকে আইনে পরিণত করার দায়িত্বে ছিল যে দল,সেই দলেরও সদস্য ছিলেন শামসুদ্দিন। ফেরা,‘ফেমা’ এবং ‘পিএমএলএ’ সংক্রান্ত দেশের যত হাই প্রোফাইল মামলা,সেই সব মামলাতেও ইডির প্রতিনিধি হিসাবে থাকতেন তিনি।এহ বাহ্য,আর্থিক দুর্নীতির প্রতিরোধের আইন বানাতে সাহায্য করেছিলেন যিনি,সেই যে শামসুদ্দিন এখন বাংলার অন্যতম বৃহৎ আর্থিক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থের হয়ে সওয়াল করতে আসছেন।
এর আগেও পার্থের হয়ে জামিনের মামলা লড়তে কলকাতায় এসেছেন শামসুদ্দিন।তবে সে দিন বন্ধ হয়ে যায় পার্থের মামলার শুনানি। পরবর্তী মামলা দিন ঠিক হয় ২০ জুলাই।বৃহস্পতিবার সেই দিন। আদালত সূত্রে খবর,পার্থের মামলা লড়তে ইতিমধ্যেই শহরে এসে পৌঁছেছেন শামসুদ্দিন।
আরও পড়ুন – ‘কালীঘাটের কাকু’র সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতার দু’টি অফিসে ইডি-র হানা
নাম শামসুদ্দিন শামস। ৩৪ বছর ধরে আইনের দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত। নিজস্ব আইনি পরিষেবা দেওয়ার সংস্থাও রয়েছে।তবে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি করা শামসুদ্দিনের আরও অনেকগুলি পরিচয় রয়েছে। যে ইডির বিরুদ্ধে পার্থের হয়ে মামলা লড়তে এসেছেন তিনি সেই ইডির সঙ্গে প্রায় দু’ দশক ধরে নিয়মিত ওঠাবসা ছিল তাঁর।প্রায় ২০ বছর ইডির আইনি বিভাগের মাথায় ছিলেন তিনি।যে কোনও আর্থিক মামলায় ইডি কী আইনি পদক্ষেপ করবে,তা জানতে শামসুদ্দিনেরই দ্বারস্থ হতে হত ইডিকে।